<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর হলো বিশ্ববিদ্যালয়। দেশে প্রায় ইউজিসির মতে ৫৮টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো স্বায়ত্তশাসিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে  সুযোগ পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে ছাত্র-ছাত্রীরা। মেধাবীদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে সেরা মেধাবীরাই পড়ার সুযোগ পায় এখানে। এর পরই শুরু হয় একটি শিক্ষার্থীর জীবনযুদ্ধ। পড়াশোনার তাগিদে ঘরছাড়া হয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলে আসে। মা-বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে তাঁদের স্বপ্ন দেখতে পায়, তারা অনুপ্রেরণা পায়। মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে এলাকার মানুষের কাছে গল্প করে বলতে পারেন, তাঁদের ছেলেমেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করে। আর এই ছাত্র-ছাত্রীর প্রায় ৯০ শতাংশ ছেলেমেয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত। মা-বাবা তাঁদের ছেলের জন্য কষ্ট করে হলেও মাসে মাসে পড়াশোনার খরচ চালান। কিন্তু একটা পর্যায়ে তাঁরাও চার-পাঁচ বছর মেসে থাকা-খাওয়ার খরচ চালাতে পারেন না। দুঃখের বিষয় হলো, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই পর্যাপ্ত আবাসনব্যবস্থা নেই। এই আবাসন সমস্যার সমাধানে কয়েকটি ব্যবস্থা  নেওয়া যেতে পারে; যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হলগুলোর রুম বৃদ্ধি করা, যাতে প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য রুম বরাদ্দ করা যায়। রাজনৈতিক দল বা সংগঠন যদি আধিপত্য বিস্তার করে, তবে তারা নিজেদের দলের স্বার্থের জন্য নিজেদের ছাত্রদের হলে তোলার ব্যবস্থা করবে এবং তাদের জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর জন্য হলে থাকতে দেবে। এতে সেই শিক্ষার্থীর যেমন নিজের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে, তেমনি পড়াশোনায়ও বিঘ্ন ঘটবে। প্রথম বর্ষ থেকেই যাতে হলে সিট পায় এবং সব শিক্ষার্থীই পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া এখন সবচেয়ে জরুরি। কেননা সবাই মেধাবী। মেধার ভিত্তিতেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ পায়। তাই পরবর্তী সময়ে মেধার মূল্যায়ন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি যেন না হয়। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য সিট নির্দিষ্ট থাকে, তাই একটু দায়িত্বশীল ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত সিট নিশ্চিত করলে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হোক পড়াশোনার যোগ্য জায়গা এবং পড়াশোনার পরিবেশ গড়ে উঠুক দেশের প্রতিটি শিক্ষালয়ে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মোহাম্মাদ আশিক </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী</span></span></span></span></p>