<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার নব সূর্য উঠেছে। এই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে কোটা আন্দোলনে সীমাবদ্ধ না থেকে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। সেই আন্দোলনের অন্যতম সহযোগী ছিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, কিছু শিক্ষক, চিকিৎসক, অভিভাবক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, শ্রমিক ও জনতা। সরকার দমন-পীড়ন শুরু করলে শিক্ষার্থীদের ডাকে রাজপথে নেমে আসে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সরকার দমন-পীড়ন চালালে আন্দোলন আরো গতি পায় এবং গণমানুষের চাপে স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই বিপ্লবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রায় তিন মাস শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে ছিলেন। এর ফলে প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট তৈরি হয়েছে। বলা যায়, শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি অপূরণীয়। এই বিপ্লবের শিক্ষার্থীরা তাঁদের শিক্ষাজীবন থেকে তিন মাস হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এমতাবস্থায় সেশনজট কমানোর কথা বলা হলেও কতগুলো বিভাগ বা বিশ্ববিদ্যালয় তা কতটুকু পুষিয়ে দেবে, তা বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করবে। একদিকে কভিড-১৯-এর ক্ষতি, অন্যদিকে নতুন করে সেশনজট তৈরি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত শিক্ষার্থীদের যথাযথ কাউন্সেলিং করা এবং দ্রুত সেশনজট নিরসন করে তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করে দেওয়া। বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যদি জবাবদিহি ও ক্ষতিপূরণের আওতায় নিয়ে আসা হয়, তাহলে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে তাঁদের লেখাপড়া শেষ করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারবেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মো. হেলাল মিয়া</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর</span></span></span></span></p>