ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৪ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ি

শেয়ার
কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ি

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে যেসব কবি কলম ধরেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কবি চন্দ্রাবতী। তিনি পনেরো শতকের শেষভাগে বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার নীলগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা দ্বিজ বংশীদাস, মনসামঙ্গল কাব্যের স্রষ্টা ছিলেন। চন্দ্রাবতী ভালোবাসতেন গ্রামের এক যুবক জয়ানন্দকে।

তবে জয়ানন্দ পরে ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলমান হয়ে এক কাজির মেয়েকে বিয়ে করেন। এই সংবাদে চন্দ্রাবতী গভীরভাবে ভেঙে পড়েন। তাঁর এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে বাবা তাঁর জন্য নরসুন্দা নদীর পারে একটি মন্দির নির্মাণ করেন। এর পর থেকে চন্দ্রাবতী পূজায় লিপ্ত থাকতেন এবং বিয়ে করেননি।

কালের বিবর্তনে নরসুন্দা নদী মৃতপ্রায় হয়ে গেলে কবি চন্দ্রাবতীর বাড়ির অবস্থাও জীর্ণ হয়ে পড়ে। দোতলা বাড়িটির ওপরের অংশ ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। নিচতলায় কিছু লোক বাস করলেও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

বাংলা সাহিত্যের একজন ছাত্র হিসেবে যখন আমি সেই বাড়িটি দেখতে যাই, তখন দেখতে পাই বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবির স্মৃতিচিহ্ন আজ বিলুপ্তির পথে।

স্থানীয় প্রশাসনেরও এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই বলে মনে হয়।

বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি এবং রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক চন্দ্রাবতীর বাড়িটির সংরক্ষণ এবং সংস্কারকাজ শুরু করার জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই।

মাহিব মোস্তাকিম

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মানহীন খাদ্যদ্রব্য

শেয়ার
মানহীন খাদ্যদ্রব্য

মানহীন খাবার প্রতিনিয়ত গ্রহণের ফলে অসুস্থতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। যেখানে-সেখানে প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন উপায়ে তৈরি হচ্ছে মানহীন খাবার। অপরিচ্ছন্ন ও ময়লাযুক্ত পানি এবং অপরিষ্কার পাত্রেই বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব ক্ষতিকর খাবার। পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

বিক্রি হচ্ছে সস্তায়। অসচেতনতা ও পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কারণে দেশের বেশির ভাগ মানুষ সেগুলো ক্রয় করছে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ। ধারাবাহিকভাবে চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয় হাসপাতাল ও মেডিক্যাল সেন্টারগুলোতে।
তাই জাতীয় বিপর্যয় এড়াতে মানহীন খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও তদারকির বিকল্প নেই।

আশিকুর রহমান 

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

শেয়ার
কীটনাশক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

মানুষের জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাবার। নিরাপদ ও কীটনাশকবিহীন খাদ্যগ্রহণ মানুষের দেহকে সুস্থ, সবল, কর্মক্ষম এবং রোগমুক্ত রাখে। শরীর সুস্থ রাখতে খাবারে আমিষের সঙ্গে সঙ্গে শাক-সবজির গুরুত্ব অপরিসীম।

শাক-সবজিতে শরীরের জন্য উপকারী পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে।

শাক-সবজি তখনই উপকারী, যখন তা কীটনাশকের মাত্রা সহনশীল হয়। সঙ্গে এর পুষ্টিগুণ প্রকৃতই ঠিক থাকে। বাংলাদেশের কৃষকরা অনুমোদিত নিয়ম না মেনেই অতিবেশি ফলনের জন্য সবজিতে অনুমোদিত মাত্রার চেয়েও বেশি কীটনাশক ব্যবহার করেন। 

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে কিছু শাক-সবজিতে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশের পরিমাণ অনুমোদিত সীমার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।

অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার ও তা ভক্ষণের ফলে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা; যেমনক্যান্সার, হরমোনের সমস্যা, নিউরোলজিক্যাল ইফেক্ট, হাঁপানি ও শ্বাসজনিত সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গকে খাবার সবজিতে অবশ্যই কীটনাশক নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

আবু হামজা

শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

টিসিবির পণ্য

শেয়ার
টিসিবির পণ্য

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সরকার নির্ধারিত কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও এই সেবাটি নিয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগটি হচ্ছে, টিসিবি পণ্য প্রকৃত উপকারভোগীদের হাতে পৌঁছানোর আগেই কিছু অসাধু ডিলার ও মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে চলে যাচ্ছে। প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েও বঞ্চিত হচ্ছে আর কালোবাজারে সেই পণ্য দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।

এমনকি বিতরণকেন্দ্রে অনিয়মিত সরবরাহ, তথ্য গোপন করা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদি এই অনিয়ম রোধ করা না যায়, তাহলে শুধু গরিব মানুষের হক নষ্ট হবে তা-ই নয়, সরকারের এই জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আস্থার সংকটে পড়বে। এই অবস্থায় টিসিবির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের লক্ষ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রজ্ঞা দাস

শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

 

মন্তব্য

প্রকৃতি রক্ষা করুন

শেয়ার
প্রকৃতি রক্ষা করুন

গাছ রক্ষা করা প্রত্যেক দেশবাসীর সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। খোলামেলা জায়গায় চারা গাছ রোপণ এবং তা গুরুত্বসহকারে রক্ষা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য তথা সুস্থতা বজায় রাখতে না পারলে গোটা পৃথিবী জীবজগতের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাণ্ডবলীলা চলতেই থাকবে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ধুমধামসহকারে সেলিব্রিটিদের উপস্থিতিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বৃক্ষ লালন-পালনে সেই উৎসাহ ও তৎপরতা কিছুই দেখা যায় না। আশার কথা এই যে বহু উদ্ভিদপ্রেমী অযাচিতভাবে এ ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকায় অবতীর্ণ, তবে দরকার আরো অনেক সংবেদনশীল ভূমিকা। এ দায়িত্ব দেশের সর্বশ্রেণির মানুষেরই নিতে হবে।
সবার বাসযোগ্য দেশ গড়ে তোলার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতেই হবে। বাতাসে অস্বাভাবিক মাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ বিষাক্ত গ্যাস বাড়ছে। চর্মরোগ থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট, এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের ঢাকাসহ বহু শহরে আজ বিভিন্ন দূষণ বাড়ছে।
রাস্তাঘাটের ধুলাবালি, যানবাহন ছাড়াও কলকারখানার চিমনি থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় মানুষ ও অন্যান্য জীব, এমনকি উদ্ভিদকুল আজ বিপর্যস্ত। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ঢাকাসহ বড় বড় শহরের দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ইতিবাচক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। প্রকৃতির যত্ন না নিতে পারলে প্রকৃতি তো রুষ্ট হবেই।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ