<p> পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালনের সময় সহকারী অধ্যাপক মোনতাজ উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁকে আগামী ১৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত করতে সংশ্লিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p> গতকাল সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। লাঞ্ছিত শিক্ষক মোনতাজ উদ্দিন গত রবিবার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। এ আবেদনের ওপর গতকাল শুনানি হয়। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।</p> <p> জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল এইচএসসি ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের ২৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক মোনতাজ উদ্দিন। সেখানে এক পর্যায়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ২৯তম বিসিএসের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম। এ সময় শিক্ষক মোনতাজ উদ্দিন তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে খেপে যান আশরাফুল ইসলাম। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন হাওলাদারকে ফোন করেন এবং পুলিশ ডেকে পাঠান। পরে তাঁরা শিক্ষক মোনতাজ উদ্দিনকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে প্রকাশ্যে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। শিক্ষকের মাফ চাওয়ার সেই ছবি প্রথমে স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যম ও পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারা দেশে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।</p> <p>  </p>