<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বে প্রায় ২০০ মিলিয়ন লোক এই হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ের সমস্যায় আক্রান্ত। অস্টিওপোরোসিস সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, প্রতি পাঁচজনে একজন পুরুষ এবং প্রতি তিনজনে একজন নারী এই অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় সমস্যায় আক্রান্ত হন। হাড় ক্ষয়ে ভেঙে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তাই সমস্যাটি খুবই বিপজ্জনক এবং আমাদের সুস্থ থাকার জন্য একটি বড় অন্তরায়। তাই এর সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার এবং সুস্থ থাকার জন্য চেষ্টা করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হার ক্ষয়ের কারণ</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বয়স ও লিঙ্গ ভেদে : চল্লিশোর্ধ্ব নারীদের ক্ষেত্রে হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা বেশি থাকে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেক্স হরমোনের প্রভাব : সেক্স হরমোনের তারতম্য হলে অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যান্য হরমোনের প্রভাব : থাইরয়েড গ্রন্থির নিঃসরণ অত্যাধিক রকম বেড়ে গেলে হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। এ ছাড়া যদি কোনো কারণে প্যারাথাইরয়েড ও অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির নিঃসরণ বেড়ে যায় তাহলেও হাড় ক্ষয়ের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাদ্যাভ্যাস : অধিক পরিমাণে ফাস্ট ফুড ও সোডা জাতীয় পানীয় পান করার কারণে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওষুধ সেবনের কারণে হাড় ক্ষয় : দীর্ঘ মেয়াদে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন ও ক্যান্সারজাতীয় রোগের কারণে আমরা যে ওষুধ খেয়ে থাকি, সেগুলো হাড় ক্ষয়ের জন্য দায়ী হতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিভিন্ন রোগের কারণে হাড় ক্ষয় : ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস), লিভার ও কিডনি সমস্যাজনিত রোগ, ক্যান্সার জাতীয় সমস্যা, মাল্টিপল মায়োলোমা, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও লুপাস জাতীয় রোগের কারণে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিছু বদ অভ্যাস : অধিক সময় বসে কাজ করা, অধিক পরিমাণে অ্যালকোহল বা অন্যান্য ড্রিংকস পান করা, অধিক ধূমপান করা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিরোধ</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* সুষম খাবার ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেয়ে ফাইবারজাতীয় খাবার যেমন শাক-সবজি ভাতের পরিবর্তে রুটি, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, সামুদ্রিক মাছ ও ডিম ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* নিয়মিত এক্সারসাইজ করে থাকলে হঠাৎ করে দীর্ঘদিন এক্সারসাইজ বন্ধ না রাখা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* নিয়মিত এক্সারসাইজ করা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* ধূমপান পরিহার করা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পরিহার করা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* মাত্রাতিরিক্ত কফি সেবন না করা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণ করা। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম সামুদ্রিক মাছ, মাশরুম, ডিম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">* চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরামর্শ দিয়েছেন</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডা. মো. আহাদ হোসেন</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিফ কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, ঢাকা।</span></span></span></span></p>