ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫
৫ চৈত্র ১৪৩১, ১৮ রমজান ১৪৪৬
প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী বৈঠক আজ

আলোচনায় রপ্তানি পণ্যে নগদ প্রণোদনা ও পেনশন ব্যবস্থা

দেলওয়ার হোসেন
দেলওয়ার হোসেন
শেয়ার
আলোচনায় রপ্তানি পণ্যে নগদ প্রণোদনা ও পেনশন ব্যবস্থা

নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও  অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

অর্থ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর এই বৈঠকে দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

বিষয় দুটি হলোরপ্তানি পণ্যের জন্য নগদ প্রণোদনা ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পেনশন ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, আলোচ্যসূচিতে অনেক বিষয় থাকে। তবে এ বিষয়ে এখন কিছু বলব না। পরবর্তী সময়ে সাক্ষাতে কথা বলব।

জানা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৩ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এসব পণ্য রপ্তানিতে ১ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আটটি পণ্য রপ্তানিতে মিলছে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা। এই পণ্যগুলো হলোশাক সবজি, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য খাত; অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) রপ্তানি, বৈচিত্র্যকৃত পাটপণ্য, শতভাগ হালাল মাংস ও হালাল মাংসজাতীয় পণ্য, আলু, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন ও জুট পার্টিকেল বোর্ড, শস্য ও শাক সবজির বীজ, আগর ও আতর পণ্য রপ্তানি খাত।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে ছয় খাতের পণ্য রপ্তানিতে। এ ছাড়া ১০ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে বেশ কয়েকটি খাতে। এর বাইরে নতুন পণ্য বা নতুন বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে সহায়তা দেওয়া হবে।

অর্থ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী কৃষি, পাট ও চামড়াশিল্পে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য তাগিদ দিচ্ছেন। নতুন মন্ত্রীদের প্রথম বৈঠকে এ বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।

ফলে আজকের এ বিষয়ে এই তিন পণ্য রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা দিতে পারেন।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অর্থ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই বছরের পর বছর সরকারি তহবিল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন এবং অবসর সুবিধা দিয়ে আসা ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পেনশন তহবিল সম্প্রতি আটকে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর ইত্যাদি। একই ক্যাটাগরির আরো ১৩টি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়ের অর্থে পেনশন সুবিধা চালুর শর্ত থাকলেও এগুলো পেনশন-অবসর সুবিধা দিতে সরকারি তহবিল ব্যবহার করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের পেনশন স্কিমের তহবিল আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং নিজস্ব আয় ব্যবহার করে এগুলোকে এ ধরনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেবল গত অর্থবছরেই এসব প্রতিষ্ঠানের পেনশন ও অবসরকালীন সুবিধা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ৬৮৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকাসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর পেনশন তহবিলের জন্য মোট ৭৭৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ফলে এসব বিষয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর পরিবারের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এসব হিসাবে ছয় কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৪ টাকা রয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

  আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক আফরোজ হক খান এসব হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জনপূর্বক এ অর্থের উৎস আড়াল করার জন্য তাঁর নামে, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি এবং তাঁদের তিন সন্তান লাবিবা নাঈম খান, আদিবা নাঈম খান ও মূলিকা নাঈম খানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা করেন। এর মধ্যে ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ কোটি টাকা স্থিতি রয়েছে।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

সাবেক এমপি বাবুর দুই বাড়িসহ স্থাবর সম্পদ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সাবেক এমপি বাবুর দুই বাড়িসহ স্থাবর সম্পদ জব্দ

খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর দুই বাড়ি, প্লট, দোকানসহ ১৩ বিঘা স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১৪টি ব্যাংক অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব হিসাবে ৩১ লাখ আট হাজার ৮৭৩ টাকা রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে মোহাম্মদপুরে দুই একর জমি, খুলনায় দুটি বাড়ি ও কেসিসি মার্কেটে তিনটি দোকান রয়েছে। এসব সম্পদের বাজারমূল্য সাত কোটি ৩২ লাখ ছয় হাজার ৮৭০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামে ঠিকাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাত্পূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়েছে।

মন্তব্য
অভ্যুত্থানে হামলা

‘ঢাবির ১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
‘ঢাবির ১২৮ জনের তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় সত্যানুসন্ধান কমিটি দায়ী হিসেবে যে ১২৮ জনের তালিকা করেছে, সেটি পূর্ণাঙ্গ নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত করা হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সত্যানুসন্ধান কমিটি চিহ্নিত ১২৮ জনের তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটি ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্ত করবে। এই কমিটি সত্যানুসন্ধান কমিটি চিহ্নিত ১২৮ জনের বিষয়টি আমলে নিয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সহিংস ঘটনায় জড়িতদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে খুব শিগগির তদন্ত কমিটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

জুলাই যোদ্ধাদের ইফতারি পাঠালেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই যোদ্ধাদের ইফতারি পাঠালেন তারেক রহমান

জুলাই অভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের জন্য ইফতারসামগ্রী এবং শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ১০৯ জন এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ১২০ জন যোদ্ধাকে নিয়ে পৃথক ইফতার মাহফিল করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

এ সময় ইফতারসামগ্রীসংবলিত দৃষ্টিনন্দন বক্স এবং জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের পক্ষে প্রত্যেকের নামে একটি শুভেচ্ছা চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়।

পঙ্গু হাসপাতালে ১০৯ জন আহত যোদ্ধার মাঝে ইফতারি বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কেনান, জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ারুন্নবী মজুমদার বাবলা প্রমুখ।

অন্যদিকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ১২০ জন যোদ্ধার হাতে ইফতারি তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ডা. সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, জেডআরএফের ডা. এ এইচ এস হায়দার পারভেজ, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন, আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ