<p>র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা ট্রেনের ৫০০ টিকিটসহ ১২ কালোবাজারিকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে এসব টিকিট কেটেছে, যা পরে চড়া দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা রেলস্টেশনের বেসরকারি ট্রেনের বিক্রয় প্রতিনিধিও রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফরমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।</p> <p>তিনি বলেন, ‘সোহেল ও আরিফুল নামের দুটি চক্র ঠাকুরগাঁও ও ঢাকা থেকে কালোবাজারি পরিচালনা করত। আমরা বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান শুরু করি। এটি চলমান অভিযান ছিল। এটা দুই থেকে তিন ধাপে পরিচালনা করা হয়। ঢাকার কমলাপুর ও আশপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।’</p> <p>ফিরোজ কবীর আরো বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের চক্র। এক ধরনের চক্র অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হলে তা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে কেটে রাখত। পরে ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে। সফট কপি পাঠিয়ে বিকাশ, বা নগদে টাকা বুঝে নেয়। এমন চক্রের দুজনকে মৌচাক মোড়ের আশপাশের এলাকা থেকে আটক করি। এদের একজনের নাম মানিক ও আরেকজন বকুল। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, মানিক মূলত সোহেল নামে একজন ও ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থানকারী আবু, রায়হান ও আনিস নামে আরো একজনের সঙ্গে কালোবাজারি ব্যবসায় আসে। তাদের কাছ থেকে আগামী ১০ দিনের টিকিট পাওয়া যায়। এগুলোর হার্ড কপি ও সফট কপি রয়েছে। তারা দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের টিকিট তিন হাজার টাকা করে বিক্রি করছে।’</p> <p>ফিরোজ কবীর বলেন, মানিক ও বকুলের মাধ্যমে আনিস ও রায়হানকে আটক করা হয়। রায়হান একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করে। সেখানে ভুয়া সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অনেক টিকিট একসঙ্গে কেটে নেওয়ার দায়িত্ব সে পালন করে। এদের বড় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেখানে চাহিদা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আর ঢাকায় যারা অবস্থান করছে, তারাও একই কাজ করে আসছিল।</p> <p>রায়হান ও আনিস টিকিট পাঠাত সোহেল ও মানিকের কাছে। আর মানিক ও বকুল ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করত। আমরা যে টিকিট পেয়েছি এখানে সেগুলো আগামী ১০ দিনের অরিজিনাল টিকিট। কমলাপুর রেলস্টেশনে বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী আরিফুল ইসলাম। তিনিও একটি চক্র চালান। বেসরকারি ট্রেনের বুকিং সহকারী হলেও তাঁর কাছ থেকে সরকারি ট্রেনের টিকিট পাওয়া গেছে। তিনি অনেক দিন ধরেই এগুলো করে আসছিলেন।</p>