<p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। তিনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য চাকরি লাভে বিশেষ বড় অঙ্কের কোটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করা স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য বৈষম্যমুক্ত ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠন বাধাগ্রস্ত করে বলে মনে করি। গতকাল বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাধীনতাযুদ্ধে আমাদের মূল অর্জন সংবিধান। সেখানে সুযোগ-সুবিধাদির ক্ষেত্রে সাম্যের কথা বলা হয়েছে। আমাদের শহীদ মিনার বৈষম্য থেকে মুক্তিসংগ্রামের আত্মত্যাগের প্রতীক। জাতীয় স্মৃতিসৌধ বৈষম্যহীন ন্যায়বিচারভিক্তিক দেশ গঠনে অঙ্গীকারের প্রতীক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p align="left" class="body" style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="line-height:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। ২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা (৩০ শতাংশ) বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। গত ৫ জুন রিটের রায়ে আদালত পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত অংশটির বাতিলকে অবৈধ ঘোষণা করেন। চাকরিপ্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আবার মাঠে নামছেন, যা নতুন সংকট সৃষ্টি করছে।</span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুরান ঢাকার মিরনজিল্লাহ হরিজন সুইপার কলোনি উচ্ছেদ চেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে জি এম কাদের বলেন, হরিজনদের উচ্ছেদ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই উচ্ছেদের উদ্দেশ্য হলো সেখানে মার্কেট করা। ব্রিটিশ আমল থেকে বসবাসরত এই পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ খুবই অমানবিক। এই মুহূর্তে মার্কেট তৈরির উদ্দেশ্যে অবহেলিত, অসহায়, অস্পৃশ্য পরিবারগুলোকে তাদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করলে তা শুধু সরকারকে নয়, জাতিকে কলঙ্কিত করবে। তাদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ বন্ধ এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তিনি।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>