<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মিরপুর ২ নম্বর থানার প্রধান ফটক। সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন আনসার সদস্যরা। থানার সামনের গেটও অর্ধেক বন্ধ। ভয়াবহ আগুনে ভবনটি পুড়ে গেছে, বাইরে থেকে তার ভেতরের অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। জানালাগুলোর কাচ ভেঙে পড়ে আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে এই চিত্র দেখা যায়। থানার ভেতরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা চার-পাঁচজন মিরপুর মডেল থানা পাহারার কাজ করে থাকেন। গত সোমবার রাত থেকে এখানে কোনো পুলিশ সদস্য নেই। কবে পুলিশ সদস্যরা আসবেন, তা-ও তাঁরা জানেন না। এটি এখনো কেউ সংস্কারের দায়িত্ব নেননি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই প্রতিবেদক ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আনসার সদস্যরা বাধা দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আনসার সদস্য জানান, তাঁদের নিষেধ করা হয়েছে, যেন কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়। ভেতরের পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জানালার কাচ ভেঙে নিচে পড়ে আছে। ভেতরে হাঁটার মতো কোনো অবস্থাই নেই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুধু মিরপুর থানা নয়, রাজধানীর ৫০টি থানার চিত্র এমনই। এ ছাড়া ঢাকার বাইরের বেশির ভাগ থানাও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মিরপুরের শাহ আলী, কাফরুল এবং বারিধারার ভাটারা ও বাড্ডা থানায় প্রায় একই চিত্র দেখা যায়। প্রতিটি থানা এখন রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আগুনে পোড়া সরঞ্জাম ছাড়া কিছুই নেই। রয়েছে ব্যাপক ভাঙচুরের চিহ্ন। প্রতিটি থানায় এখন কয়েকজন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত সোমবার সরকারের পতন হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে চলে যান। এর পর থেকে দেশে শুরু হয় ব্যাপক নৈরাজ্য। এ সময়ের মধ্যেই থানাগুলো পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে। আবার যাত্রাবাড়ীসহ আরো কয়েকটি থানায় পুলিশ থাকা অবস্থায় আগুন দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে অনেক পুলিশ সদস্য মারা যান। ঢাকার বাইরেও বেশির ভাগ থানায় হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এ কারণে থানাগুলোতে এখন পুলিশ নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের নতুন আইজি ময়নুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। থানা সংস্কার করা হবে।</span></span></span></span></p>