<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসির) ৫৭টি গাড়ি ও একটি স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিআরটিসির বাস, ট্রাক ও স্থাপনা ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় মোট তিন কোটি ৮০ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এই ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাগুলো ঘটে। প্রতিবেদনে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিআরটিসির বিভিন্ন ডিপো, স্থাপনা, বাস ও ট্রাক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জোয়ারসাহারা বাস ডিপোর আওতাধীন ১০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি বাস আগুনে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আটটি বাসের সামনে ও পেছনের উইন্ডশিল্ড ও সাইড গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। এতে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি ৪২ লাখ ২৫ হাজার টাকা।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোহাম্মদপুর বাস ডিপোর আওতায় থাকা আটটি বাসের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে একটি বাস পুরো পুড়ে গেছে। বাকিগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯০ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা। কল্যাণপুর ডিপোতে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বাসের মধ্যে একটি পুরো পুড়ে গেছে। বাকিগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে। এখানে ক্ষতি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যাত্রাবাড়ী ডিপোর প্রধান ফটক এবং ডিজিটাল সাইনবোর্ড, সিসিটিভি ক্যামেরা, পাঁচটি বাস ও একটি জিপ গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সব বাস ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এতে ক্ষতি হয়েছে ছয় লাখ ৯ হাজার টাকা। মিরপুর ডিপোর ১২টি বাস ভাঙচুরে ক্ষতি হয়েছে চার লাখ ৭০ হাজার টাকা। মতিঝিল ডিপোতে একটি বাস ভাঙচুর করা হয়, ক্ষতি ৭০ হাজার টাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম ডিপোতে টাটার একতলা দুটি বাস ও দুটি দোতলা বাস হামলার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মোট ক্ষতি হয়েছে ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। বরিশাল ডিপোতে একটি বাস আগুন দিয়ে পুরো পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ১৯ লাখ ২২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বগুড়া বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ লাখ ৯২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ১১টি ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনায় ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনটি গতকাল বৃহস্পতিবার বিআরটিসি থেকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এতে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে প্রতিবেদন জমার তারিখের জায়গা ফাঁকা। স্বাক্ষরের নিচে তারিখ উল্লেখ থাকলেও প্রতিবেদনের শুরুতে তারিখের জায়গায় কিছু লেখা নেই। জানতে চাইলে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক খুবই কম। এটাকে ক্ষতি বলার সুযোগ নেই। কারণ একটা ডিপো আক্রমণ হলেই ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারত। সেই বিবেচনায় এটা কোনো ক্ষতিই না।</span></span></span></span></p> <p> </p>