<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্প্রতিক বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে নদীর নাব্যতার সংকটকে প্রধানত দায়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সারা দেশে বর্তমানে এক হাজার আটটি নদী রয়েছে, যার ৯০ শতাংশই নাব্যতা সংকটে ভুগছে। এ ছাড়া নদীর পার দখল ও দূষণে জর্জরিত। শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শতভাগ নদীই দখল ও দূষণের শিকার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রবিবার রাজধানীতে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নদীর নাব্যতা সংকট দূরীকরণ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকার ও জনগণের করণীয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকালের সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. ফিরোজ জামান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। তিনি বলেন, সামগ্রিক অর্থে নদীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হতে পারত বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি, কিন্তু বর্তমানে তা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত রাজনীতিবিদদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে নদীর দখল বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে। নদী দখল ও দূষণের কারণে জীববৈচিত্র্যও হুমকির মুখে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো লুটপাট করে ওই অর্থ নদী খননের কাজে ব্যবহার করা হয়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পরিপ্রেক্ষিতে সবুজ আন্দোলনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে সব নদীর ওপর থেকে বাঁধ অপসারণ করা; নদীর নাব্যতা সংকট দূরীকরণে নতুন বাজেট প্রণয়ন; অবিলম্বে সারা দেশের নদী খনন শুরু করা; দেশের সব নদীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখলদারি উচ্ছেদ করা এবং নদীমাতৃক অর্থনৈতিক গুরুত্ব তৈরি করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পিত আবাসন নীতিমালা প্রণয়ন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বন্য প্রাণী যাতায়াতে আন্ডারপাস করিডর নির্মাণ করতে হবে। শক্তিশালী ও স্বাধীন বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশন বাস্তবায়নে লোকবল নিয়োগ এবং দোষীদের শাস্তি প্রদানে আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগের বিধান রেখে আইন সংস্কার করতে হবে।</span></span></span></span></p>