<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে বেসামরিক ব্যক্তিপর্যায়ে ৭৭২টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব লাইসেন্সের বেশির ভাগই দেওয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেসামরিক মানুষকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানায় বেসামরিক মানুষকে ৩৬৩টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। এর মধ্য শটগান ২২৪টি, পিস্তল ৯৩টি, রিভলভার ২৪টি ও রাইফেল ২২টি। আর চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি থানায় ৪০৯ বেসামরিক মানুষকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পিস্তল ৫০টি, রিভলভার ১৮টি, রাইফেল ১১টি ও শটগান ৩৩০টি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (আগ্নেয়াস্ত্র শাখা) মো. মাহমুদ হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, চট্টগ্রামে গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে ৭৭২টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে কোন কোন ব্যক্তিকে এই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (আগ্নেয়াস্ত্র শাখা) মো. মাহমুদ হাসান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মূলত ১৮৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের আর্মস রুলস আইনের আওতায় যেকোনো সামরিক বা বেসামরিক নাগরিককে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। আবেদনকারীর জীবনের ঝুঁকি থাকলে অর্থাৎ শুধু আত্মরক্ষার ব্যাপার থাকলে তিনি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। লাইসেন্স পাওয়ার পরই কেউ অস্ত্র কিনতে পারেন। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬-এর ভূমিকা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-তে উল্লেখ রয়েছে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান সাধারণভাবে নিরুৎসাহ করা হবে। এ ছাড়া ৩(খ)-তে বলা হয়েছে, অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আগ্রহী ব্যক্তির বয়স হতে হবে ৩০-এর ওপরে ও ৭০-এর নিচে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যক্তিশ্রেণির</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আয়করদাতা হতে হবে। আবেদনকারী কর্তৃক আবেদনের আগের দুই বছর ও আবেদনের বছর মিলিয়ে প্রতিবছর ন্যূনতম দুই লাখ টাকা কর পরিশোধ থাকলে রিভলভার বা পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে তিন বছর ১২ লাখ টাকা হারে রেমিট্যান্স এবং বিদেশে আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগ রয়েছে, গত সাড়ে ১৫ বছরে এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক দলীয় নেতাকর্মী থেকে সমর্থকদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মেরও অভিযোগ রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>