<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকায় সচিবালয়ের সামনে গত ২৫ আগস্ট রাতে আনসার সদস্যদের মারধরে আহত শাহীন হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাহীন হাওলাদার পেশায় গাড়িচালক। তাঁর বাড়ি খুলনা বিভাগের মোংলা থানার কচুবুনিয়া গ্রামে। বাবার নাম সোবহান হাওলাদার। শাহীন দুই ছেলে, এক মেয়েসহ পরিবার নিয়ে খিলগাঁওয়ের গোড়ানের ৩০ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকতেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের মর্গে শাহীন হাওলাদারের ছেলে হাসান আহমেদ বিশাল জানান, বিশাল ও তাঁর বন্ধুরা ছাত্র আন্দোলনের প্রথম থেকেই রাজপথে ছিলেন। গত ২৫ আগস্ট সাধারণ আনসার সদস্যরা সচিবালয় ঘেরাও করেন। পরে সেখানে শিক্ষার্থীরা গেলে তাঁদের ওপর আনসাররা হামলা করেছে বলে বিশাল শুনতে পান। এটি শুনে তাঁরা কয়েক বন্ধু মিলে সচিবালয়ের সামনে যান। রাত ৯টার দিকে সচিবালয়ের দুই পাশে আনসার সদস্যরা অবস্থান নিলে মাঝখানে আটকা পড়েন তাঁরা। তখন সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য গাড়িচালক বাবাকে ফোন দেন বিশাল। তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করতে বলেন। ফোন কল পেয়ে ছেলে ও তাঁর বন্ধুদের উদ্ধারে সেখানে যান শাহিন। সচিবালয়ের সামনে দিয়ে হেঁটে ছেলেকে খুঁজছিলেন তিনি। তখন আনসার সদস্যরা তাঁকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। তাঁর মাথার পেছনে আঘাত করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশাল আরো জানান, অনেকক্ষণ পর তাঁর বাবার ফোনে কল করলে এক শিক্ষার্থী ফোন রিসিভ করে জানান, আনসার সদস্যরা তাঁর বাবাকে আঘাত করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে বাবার কাছে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানে চিকিৎসাধীন শাহীন মারা যান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশালের বন্ধু রমজান হাওলাদার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার বন্ধুর বাবাকে পেটানোর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সানাউল হক জানান, পরিবারের আবেদনে শাহীন হাওলাদারের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।</span></span></span></span></p>