<p>প্রেম, পূজা, ঋতু-প্রকৃতির গান নিয়ে হয়ে গেল ছায়ানটের শ্রোতার আসর। আসরজুড়ে পরিবেশিত হলো রবীন্দ্রনাথের পর পর ১৫টি নানা গান। শিল্পী সেঁজুতি বড়ুয়া, মহাশ্বেতা চৌধুরী আর সত্যম দেবনাথ সুরের ইন্দ্রজালে বেঁধে রাখলেন শ্রোতাদের। ধানমণ্ডির ছায়ানট ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে গতকাল শুক্রবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।</p> <p>গতকাল ছুটির দিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আয়োজনটি শুরু হয় মহাশ্বেতা চৌধুরীর গানের পরিবেশন দিয়ে। তিনি শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের পূজা পর্যায়ের গান ‘নাই বা ডাকো রইব তোমার দ্বারে’ দিয়ে। শেষ করেন প্রেম পর্যায়ের গান ‘কে বলেছে তোমায় বঁধূ দিয়ে’। পরের শিল্পী সত্যম দেবনাথ পর পর সাতটি গান পরিবেশন করেন। তাঁর প্রথম নিবেদন ছিল কবিগুরুর শরতের গান ‘শরতে আজ কোন অতিথি এলো প্রাণের দ্বারে’। এরপর পূজার গান ‘তাঁহারে আরতি করে’, প্রেমের গান ‘আমার একটি কথা বাঁশি জানে, বাঁশিই জানে’সহ মোট সাতটি গান পরিবেশন করেন।</p> <p>শ্রোতার আসরের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন শিল্পী সেঁজুতি বড়ুয়া। তিনিও পূজা ও প্রেম পর্যায়ের সাতটি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন। তিনি শুরু করেন ‘আরো কত দূরে আছে সে আনন্দ ধাম’ দিয়ে। শেষ করেন ‘যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক, আমি তোমায় ছাড়ব না মা’ দিয়ে। পুরো আয়োজনে যন্ত্রাণুষঙ্গে তবলায় ছিলেন গৌতম সরকার, কি-বোর্ডে রবিন্স চৌধুরী, বাঁশিতে মামুনুর রশীদ ও মন্দিরায় প্রদীপ কুমার রায়।</p> <p>বাঙালিকে তাঁর গানের ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে সংগীতরুচিতে আভিজাত্য আনতে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঘরোয়া আসর শুরু করে ছায়ানট। শ্রোতার আসরের প্রথম অনুষ্ঠান হয় মোখলেসুর রহমান সিধু ভাইয়ের ঢাকার র্যাঙ্কিন স্ট্রিটের বাসায়। সে অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন কলকাতা থেকে আগত ফিরোজা বেগম। পরের অনুষ্ঠানগুলো সাজানো হয়েছিল ফাহমিদা খাতুনের রবীন্দ্রসংগীত, খাদেম হোসেনের সেতার বাদন এবং ইউসুফ খান কোরেশী ও ইয়াসিন খানের উচ্চাঙ্গসংগীত দিয়ে।</p> <p>বর্তমানে বছরে ছয়টি আসরের আয়োজন করছে ছায়ানট। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাংলা মাসের চতুর্থ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনের ‘রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে’ হচ্ছে অনুষ্ঠান।</p> <p> </p>