<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পেঁপে, কলা, ধানসহ সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় এই ক্ষতি হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠের বেশির ভাগ বড় পেঁপেগাছ ভেঙে গেছে। হেলে গেছে মরিচগাছ। একই অবস্থা কলাবাগানগুলোরও। জমির পাকা ধান, নতুন রোপণকৃত আমন ও আউশ ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা সদরের কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, তাঁর পাঁচ বিঘা জমিতে পেঁপেবাগান ছিল। এর মধ্যে তিন বিঘা জমির ৮০ শতাংশ গাছ ভেঙে পড়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া দুই বিঘা জমির ফলন্ত চারাগাছের ৭০ শতাংশ উপড়ে পড়েছে। এতে তাঁর প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলাম জানান, তাঁর ছয় বিঘা জমিতে পেঁপেবাগান রয়েছে। পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় তিন বিঘা জমির পুরনো বড় গাছের ৮৫ শতাংশ ভেঙে ও হেলে পড়েছে। এ ছাড়া তিন বিঘা জমির নতুন ফলন্ত ৭৫ শতাংশ পেঁপেগাছ হেলে পড়েছে। এতে তাঁর প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার এক হাজার ৫৩ হেক্টর জমিতে পেঁপের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৬০০ হেক্টরের ক্ষতি হয়েছে। মরিচ আবাদ হয়েছে ৩৯২ হেক্টর জমিতে যার পুরাটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আমন ধান সাত হাজার ৪৫০ হেক্টরের মধ্যে ৭৫ শতাংশ, আউশ ১১ হাজার ৫২০ হেক্টরের মধ্যে ৫৭ শতাংশ, সবজি দুই হাজার ১৭০ হেক্টরের মধ্যে এক হাজার ৭৫ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষি অফিসের হিসাবের তুলনায় ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলে জানান কৃষকরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টানা বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে পেঁপে ও মরিচের ক্ষতির পরিমাণ সব থেকে বেশি হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় সব ফসল কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। ধান ক্ষেত থেকে দুই এক-দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না।</span></span></span></span></p> <p> </p>