<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) খুললেও অচলাবস্থা এখনো কাটেনি। সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। এদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ না থাকায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক কাজকর্মে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১২ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁদের মধ্যে ৫৬ জন শিক্ষক, ৩৪ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ১২২ জন। উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম চলমান রাখতে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গত ২৯ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এসংক্রান্ত নির্দেশনা জানানো হয়েছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও অধ্যাপক কেউ না থাকায় প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালনের জন্য কাউকে নিয়োগ করা যায়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েকজন শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রায় ১৫ জন সরকার পতনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। কারণ তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ হয়েছে। যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন তাঁদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্মচারী আব্দুল বারিক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় একটু বিপাকে পড়েছি। কবে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বেতন হবে তাও জানি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আল মামুন সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি না থাকায় আগস্ট মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। নতুন ভিসি না আসা পর্যন্ত মনে হয় কারো বেতন-ভাতা হবে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা জানান, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বৈষম্যের শিকার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। যাঁরা এসব দুর্নীতি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>