<p>কারাগারে দুর্নীতি রোধে সম্প্রতি নতুন করে গঠন করা হয়েছে প্রিজন্স ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (পিআইইউ)। দেশের কারাগারগুলোতে কারারক্ষী বা কারা কর্মকর্তাদের মাঝে কারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, কারা অর্থের বিনিময়ে বন্দিদের সুবিধা দিয়ে থাকে, কারা মাদক কারাবারের সঙ্গে জড়িত এসব তথ্য দেবে এ গোয়েন্দা ইউনিট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।</p> <p>কারা সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে কারা বিভাগের বিভিন্ন স্তরের অনিয়ম, দুর্নীতি কমিয়ে সুষ্ঠু কারা প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ১ জুন প্রিজন্স সিকিউরিটি ইউনিট গঠন করা হয়েছিল। পরে যার নামকরণ করা হয় পিআইইউ।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোয়েন্দা ইউনিটটি শুরুর দিকে ভালো কাজ করলেও পরে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন গত ১১ আগস্ট কারা মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর নতুন করে পিআইইউকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন কারাগার থেকে যোগ্য কারারক্ষীদের নির্বাচন করে এ ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কার্যক্রম শুরুও করেছেন।</p> <p>কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক আবু তালেবকে প্রধান করে ইউনিটটি নতুন যাত্রা শুরু করেছে। কারা অফিসার্স মেসের প্রথম তলার একটি কক্ষকে দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ন্যূনতম পাঁচ বছরের সন্তোষজনক চাকরিকাল ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন কারারক্ষীদের মধ্য থেকে নির্বাচন করে কারা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধীনে এক মাসের প্রশিক্ষণ দিয়ে সদস্য নির্বাচন করা হয়েছে।</p> <p>ইউনিটটিতে একজন এআইজি ছাড়াও দায়িত্ব পালন করছেন একজন ডেপুটি জেলার এবং সাতজন পুরুষ কারারক্ষী ও একজন নারী কারারক্ষী। তাঁরা সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। ১০৬ জন কারারক্ষীকে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ ও মোটিভেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে পিআইইউ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি কারাগারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>এক কারা কর্মকর্তা জানান, কোন কারাগারে কী হচ্ছে সেই তথ্য এ ইউনিটের মাধ্যমে প্রতিদিন সকালে কারা মহাপরিদর্শকের কাছে উপস্থাপন করা হয়।</p> <p> </p>