<p>দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ১২ থেকে ১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এ বন্দর দিয়ে গত তিন দিনে ভারতীয় ৩৪টি ট্রাকে ৯৭৮ মেট্রিক টন ৯০০ কেজি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এসব পেঁয়াজ নতুন শুল্ক ২০ শতাংশ দিয়েই আমদানি করা হচ্ছে। তবু কমেনি পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজারে দাম কেজিপ্রতি দু-তিন টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বন্দরের পাইকারি মোকামে ভারতীয় ইন্দর জাতের পেঁয়াজ পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭ টাকায় এবং নাসিক তিন টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পণ্যটির দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন বন্দরে আসা পাইকাররা।</p> <p>অন্যদিকে হিলির খুচরা বাজারে ১০৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজ। দাম না কমার কারণে হতাশা প্রকাশ করেছে সাধারণ ক্রেতারা। গতকাল শুক্রবার সকালে হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কমবেশি আমদানি করা পেঁয়াজ রয়েছে। খুচরা বাজারে মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ফরহাদ বলেন, ‘শুল্ক কমিয়েছে ভারত সরকার, সেখানে তো পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে আসার কথা। কিন্তু বাজারে তার উল্টো চিত্র। প্রতিদিন যদি সব নিত্যপণ্যের দাম এভাবে বৃদ্ধি হয়, তাহলে আমরা তো খেটে খাওয়া মানুষ, কিভাবে চলব?’</p> <p>হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, ‘বন্দরের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি। তবে কী কারণে দাম বেশি, তা আমরা জানি না। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। যদি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে দেশি পেঁয়াজের দামও বৃদ্ধি পাবে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা ব্যালান্স পেঁয়াজ পাইকারি কিনেছি ৮৩ টাকা কেজি দরে। আর একটু ভালো মানের পেঁয়াজ ৮৫ টাকায় কিনে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। হিলি বাজারে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এর চেয়ে আরো ভালো মানের পেঁয়াজ, তার দাম বেশি। তাই আমরা ব্যালান্স পেঁয়াজ বিক্রি করছি। ভালো মানের পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় সেটি দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।’</p> <p> </p>