<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুয়া প্রতিষ্ঠান বানিয়ে গত ছয় বছরে ১০টি হিসাবের বিপরীতে বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার টাকা লোপাট করেছেন দুজন ব্যবসায়ী। ব্যাংকের সাবেক দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১-এর উপসহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন বাদী হয়ে নিজ কার্যালয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার আসামিরা হলেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের সিডিএ এভিনিউ শাখার সাবেক এভিপি ও ব্যবস্থাপক মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী (৫৭), একই শাখার এসইও অফিসার কাঞ্চন কুমার দে (৫৭), সাতকানিয়া উপজেলার চরখাগারিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (৫১) এবং নগরের ডবলমুরিং থানার বাংলাবাজার স্ট্যান্ড রোড এলাকার ইকবাল হোসেন দোভাষ (৬৯)। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম চোধুরী ও কাঞ্চন কুমার দে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক চট্টগ্রামের সিডিএ এভিনিউ শাখায় দায়িত্ব পালনকালে ২০০৭ সালের ১৭ এপ্রিল মেসার্স এইচ অ্যান্ড এইচ করপোরেশনের নামে একটি চলতি হিসাব (৩৩০০০৯৭৬) খোলা হয়। অন্য আসামি সাইফুল ইসলাম এবং ইকবাল হোসেনের ছেলে জাহিদকে ওই হিসাবের নমিনি উল্লেখ করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম ওই হিসাবের পরিচয়কারী ছিলেন। ওই হিসাব খোলার পত্রে মো. আবদুস সবুর নামের এক ব্যবসায়ী এবং আসামি ইকবাল হোসেনকে মেসার্স এইচ অ্যান্ড এইচ করপোরেশন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রপ্রাইটার উল্লেখ করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৮২, আসাদগঞ্জ, কোতোয়ালি, চট্টগ্রাম</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। অথচ ওই ঠিকানায় গিয়ে দুদক কর্মকর্তারা দেখতে পান, মেসার্স এইচ অ্যান্ড এইচ করপোরেশন নামের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর মেসার্স এইচ অ্যান্ড এইচ করপোরেশন নামের একটি সিসি ঋণ (জামানতের মাধ্যমে লোন) হিসাব খোলা হয়। আর প্রতিষ্ঠানের নামে অংশীদারি দলিল করা হয় একই বছরের ৩ জুন, যা ১ জুলাই কার্যকারিতা পাবে বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ অংশীদারি চুক্তির এক বছর আগেই, অর্থাৎ ২০০৭ সালের ১৭ এপ্রিল খোলা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ব্যাংক হিসাব, যা নিয়ম অনুযায়ী অংশীদারি চুক্তির পর খোলার নিয়ম। অন্যদিকে চুক্তিপত্রে দুই অংশীদারের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনার কথা উল্লেখ থাকলেও ব্যাংক হিসাব খোলার ফর্মে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন হিসাব পরিচালনা করবেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স এইচ অ্যান্ড এইচ করপোরেশন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের ভুয়া হিসাব খোলেন। মামলার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আসামি ইকবাল হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ গ্রহণের জন্য তাঁর মালিকানাধীন ভূমিসহ চারতলা একটি ভবন বন্ধক রাখেন। ২০০৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথমবার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের সিডিএ এভিনিউ শাখা </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স এইচ অ্যান্ড এইচ করপোরেশন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কে আট কোটি টাকা কম্পোজিট ঋণের সুবিধা প্রদান করে। কিন্তু প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে একাধিকবার ঋণের লিমিট নবায়ন করেও সর্বশেষ ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ মঞ্জুর করে। আবার লোকাল ও ফরেন এলসি খুলে পরবর্তী সময়ে এলসিগুলো এলটিআর ও পিএডিতে রূপান্তর দেখিয়ে ঋণের টাকা ডিসভার্সড করে আসামিরা ব্যাংকের ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার টাকা লোপাট করেন।দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, প্রতারণার উদ্দেশ্যে পরস্পর সহযোগিতা ও যোগসাজশ করে আবদুস সবুর চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে মেসার্স এইচ অ্যান্ড এইচ করপোরেশন নামের ভুয়া অংশীদারি চুক্তিপত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও জাল কাগজপত্র বানিয়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক থেকে ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২৪ কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। </span></span></span></span></p>