<p>সংখ্যালঘু হত্যা ও নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। মঞ্চের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত উপযুক্ত শাস্তি প্রদানসহ আটটি দাবি জানানো হয়েছে। এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে আগামী ৪ অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।</p> <p>গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।</p> <p>সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক রনি রাজবংশী বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের বাড়ি, ঘর, মন্দির ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলছে এবং দেশত্যাগের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব বন্ধে ১৩ আগস্ট নতুন সরকারের কাছে যখন দাবি জানানো হয়েছিল, তখন বলা হয়েছিল, এসব দাবি যৌক্তিক। তবে সেগুলো মেনে নেওয়া বা কার্যকর করার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী ৪ অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।’</p> <p>সমাবেশে উত্থাপিত আটটি দাবি হলো, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, অবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা, ‘সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করা, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করা, পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা, ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করা, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ ও প্রতিটি হোস্টেল প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করা, ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করা, শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি প্রদান করা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি দেওয়া।</p> <p> </p>