<p>দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পেশেন্ট কেয়ার (নার্সিং) বিভাগে পাস করা সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী। সব ধরনের যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও তাঁদের নিবন্ধন সনদ দেওয়া হচ্ছে না। দ্রুত এই বৈষম্য নিরসন না করা হলে আমরণ অনশনসহ কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোনার বাংলা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. আলমগীর রানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষার মাধ্যমে পেশাগত সনদ (লাইসেন্স) প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে অবৈধভাবে আমাদের ওপর ছয় মাসের প্রশিক্ষণ চাপিয়ে দেওয়া হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের অধীনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী এক ও অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। দেশের ৭৭টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে ছয় মাসের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে গিয়ে অনেকেই চাকরিচ্যুত হন।</p> <p> </p>