<p>রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় দুজনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে একটি দোকান থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলো মো. রফিকুল ইসলাম (৮০) ও মো. সাব্বির (১৬)। তাদের মধ্যে রফিক মুদি দোকানের মালিক এবং সাব্বির দোকানের কর্মচারী। রফিকুল ইসলামের বাড়ি বরিশাল সদরের দবদবিয়া গ্রামে। সাব্বিরের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রায়গঞ্জ বাজার বেপারীপাড়ায়।</p> <p>গতকাল এ তথ্য দেন গুলশান মডেল থানার ওসি মো. তৌহিদ আহমেদ। তিনি বলেন, গুলশান-২-এর ১০৮ নম্বর সড়কের একটি দোকানের ভেতর থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দোকানের ভেতরে রাতে থাকার জায়গা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাবের ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। গুলশান থানার ওসি আরো বলেন, দুজনেরই গলায় ও সারা শরীরে বঁটি দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে লুটপাটের অংশ হিসেবে তাদের কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত রফিকুল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দবদবিয়া গ্রামের আফছার আলী সিকদারের ছেলে। তিনি চার ছেলের জনক ছিলেন। তাঁর পরিবার গ্রামে থাকে।  তারা মাঝেমধ্যে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসত। অন্যদিকে সাব্বির ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার ব্যবসায়ী আব্দুল হেকিমের ছেলে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট ছিল। নিহত রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির  বলেন, শুক্রবার থেকেই রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে আত্মীয়রা ওই প্লটে তাঁকে দেখতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁর দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে দেয়াল টপকে প্লটের ভেতরে গিয়ে কক্ষটির দরজার ফাঁক দিয়ে তাঁর মরদেহ দেখতে পান। তবে কলার ঝুড়ি বাইরে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলোর গলা কাটাসহ ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের জখম ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ওই খালি প্লট দেখাশোনার জন্য ভেতরে একটি কক্ষ ছিল। প্লট দেখাশোনার পাশাপাাশি রফিকুল ইসলাম একটি চায়ের দোকান করেছিলেন। তিন মাস আগে সাব্বির নামের একজনকে সেই দোকানে কাজে রেখেছেন। তাদের হত্যার পাশাপাশি দোকানের কফি মেশিন ও দুটি মোবাইল ফোনসহ কিছু মূল্যবান মালপত্র খোয়া গেছে।</p> <p> </p>