<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শেরপুর জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের প্রায় ৩৬ শতাংশ কোনো দিন স্কুলেই যায়নি। মাত্র ২০.৮৪ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। এ ছাড়া এই জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশ মানুষের স্থায়ী কোনো কাজ নেই। অন্য যারা স্থায়ী কাজ করে, তাদের মধ্যে ৬৫ শতাংশই কৃষিজীবী। তবে তাদের মধ্যে কাজ না করে বসে থাকা মানুষের সংখ্যা কম।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য এসেছে। গতকাল সোমবার সকালে বিবিএসের সেমিনারকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিদুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। জরিপ নিয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এ প্রকল্পের পরিচালক ও ব্যুরোর উপপরিচালক ফারহানা সুলতানা। শেরপুরের জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজা জেসমিন বক্তব্য দেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূল প্রতিবেদনে ফারহানা সুলতানা জানান, শেরপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার গত বছর জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রকৃত অবস্থা জানতে তাদের নিয়ে একটি জরিপ করার জন্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই জরিপ প্রকল্প করা হয়েছে। একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই প্রথম কোনো জেলায় এ ধরনের জরিপ করা হয়। ৯ মাসের মধ্যে এই জরিপ সম্পন্ন করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জরিপে দেখা যায়, শেরপুর জেলায় সদর, ঝিনাইগাতী, নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পাঁচটি উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ১৫ লাখ এক হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে জরিপে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা ২০ হাজার ৮৪০। এখানে গারো, কোচ, বর্মণ, হাজং, ডালু, হুদি, মসুর, মার্মা, ম্রো, চাক, মাহালীসহ প্রায় ১৬টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাস। জনসংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি গারো, এরপর রয়েছে বর্মণ, কোচ, হুদি ও হাজং। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা নালিতাবাড়ীতে সবচেয়ে বেশি। তাদের সংখ্যা আট হাজার ১১১। এরপর রয়েছে ঝিনাইগাতীতে (ছয় হাজার ৯৩৮ জন), শ্রীবরদীতে (তিন হাজার ৪৭৬ জন), সদরে (এক হাজার ৫৩১ জন) এবং নকলায় সবচেয়ে কম ৭৮৪ জন। এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে পুরুষপ্রধান পরিবারের সংখ্যা ৭৩.২৭ এবং নারীপ্রধান পরিবার ২৬.৭৩ শতাংশ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে প্রাথমিক স্কুলগামী মানুষের সংখ্যা মাত্র ২০.৮৪ শতাংশ। শিক্ষায় হাজংরা সবচেয়ে এগিয়ে। তাদের মধ্যে শিক্ষার হার ৭৩.৪১ শতাংশ। এরপর গারোদের শিক্ষার হার ৬৬.১৩ শতাংশ। আর জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে মাত্র ৩.২৪ শতাংশ উচ্চশিক্ষা (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) পর্যায়ে অধ্যয়ন করছে।</span></span></span></span></p>