<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞান শিক্ষার মৌলিক ধারণা লাভ সব শিক্ষার্থীর জন্য অপরিহার্য। সব শিক্ষার্থী বিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা অর্জন করলে তার বৈজ্ঞানিক সাক্ষরতা অর্জন, কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসা, দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে বৈজ্ঞানিক পন্থা অনুসরণের পাশাপাশি সৃজনশীল মানুষ হওয়ার পথ তৈরি হয়। কিন্তু বাংলাদেশে নবম শ্রেণি থেকে বিশেষায়িত বিভাগ বিভাজন শিক্ষায় ও সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষায় নিরবচ্ছিন্ন রূপান্তর : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক পলিসি ব্রিফে (নীতি-সংক্ষেপ) এই মতামত তুলে ধরেছে গণসাক্ষরতা অভিযান। গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ নিয়ে ব্রিফ করা হয়। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পলিসি ব্রিফে শিক্ষার পাঁচটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে। স্তরগুলো হলো : প্রাক-প্রাথমিক বা শৈশবকালীন শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা এবং শিক্ষা প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ। একই সঙ্গে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের বদলে একক মন্ত্রণালয় জরুরি বলে সুপারিশ করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিফে বলা হয়, শিক্ষায় রূপান্তর এখন শুধু একটি শিক্ষাক্রম বা নতুন পাঠ্য বই ছাপানোর কার্যক্রম নয়। শিখন-শেখানো পদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উপকরণ প্রস্তুত, মূল্যায়নপ্রক্রিয়া প্রণয়ন ও শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই রূপান্তর হতে হবে নিরবচ্ছিন্ন ও সব স্তরে সামগ্রিকভাবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রাথমিক শিক্ষার পরামর্শক কমিটির আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমদ বলেন, প্রাথমিকের জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন সামগ্রিক শিক্ষার জন্য একটি উদ্যোগ দরকার। একটি শিক্ষা কমিশন করা দরকার। দীর্ঘ সময়ের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব সেই কমিশন করবে। তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভাজন থাকবে না, সেটা শুরু হয়েছিল। কারণ এত অল্পবয়সে বিভাগ অন্য দেশও তুলে দিয়েছে। কিন্তু আমরা শুধু আগের জায়গায় চলে যাব, সেটাই মূলকথা। নতুন যে কী হলো সেটা কোনো বিষয় নয়। এ জন্যই আমরা দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের জন্য কমিশনের কথা বলছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিফে বলা হয়, দুই বছরের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে একটি স্বতন্ত্র কাঠামো হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন জরুরি। আর প্রাথমিকের ক্ষেত্রে বলা হয়, পাবলিক পরীক্ষা বা বৃত্তি পরীক্ষার মতো বৈষম্য সৃষ্টিকারী পরীক্ষা চালু করা সংগত হবে না। কন্টেন্ট মুখস্থনির্ভরতা থেকে বের হয়ে সমস্যা সমাধাননির্ভর শিখনপ্রক্রিয়া এবং গাঠনিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্যতার পরিমাপ করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুত করা এবং জীবিকানির্ভর দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়ে কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে সন্নিবেশ করতে হবে। এ জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা বহু পথ সৃষ্টিকারী একটি ব্যবস্থা হওয়া দরকার, যেন এই শিক্ষা গ্রহণের পর যেকোনো শিক্ষার্থী তার ইচ্ছা ও প্রবণতা অনুযায়ী বিভিন্ন দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ পায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উচ্চশিক্ষার সংস্কারে ইউজিসিকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান।</span></span></span></span></p>