<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যেই আবার শুরু হয়েছে নতুন উপদ্রব চিকুনগুনিয়া। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশাই চিকুনগুনিয়া জ্বরের ভাইরাসের বাহক। এই জ্বর নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক ডা.মোহাম্মদ আজিজুর রহমান</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি.</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্যামলী, ঢাকা</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লক্ষণ : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ জ্বরে প্রথম দিন থেকে তীব্র মাত্রার জ্বর ও র‌্যাশ থাকে। একই সঙ্গে থাকে তীব্র শরীর ব্যথা। বিশেষ করে গিঁরায় গিঁরায় ব্যথা। শরীর ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে ছোট-বড় সব গিঁরায় তীব্র ব্যথা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গিঁরা ফুলেও যেতে পারে। হাঁটু ও পায়ের পাতায় অসহ্য ব্যথার কারণে হাঁটা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়। ব্যথা আট-দশ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কিন্তু জয়েন্টে ব্যথা দীর্ঘায়িত হয়, যা কি না মাস বা এমনকি বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। র‌্যাশ ডেঙ্গুর তুলনায় চিকুনগুনিয়ায় বেশি হয়। শরীরে বিভিন্ন রকম র‌্যাশ হয়। এ ছাড়া রোগী খুবই দুর্বলবোধ করেন। খাওয়াদাওয়ায় খুবই অনীহা হয়। কারো কারো বমি হয়। চিকুনগুনিয়ায় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি নেই। রোগীর রক্তক্ষরণ হয় না। তাই রোগীকে রক্ত দেওয়ারও প্রয়োজন হয় না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">করণীয় : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে কমতে পারে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব। তাই ঘরের টবের পানিসহ বাড়ির আশপাশে ছোট জলাধার প্রতিদিন পরিষ্কার রাখ, মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করা, প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা সংক্রমণ এড়াতে মশার কামড়ের সংস্পর্শ কমিয়ে আনার চাবিকাঠি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসা : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেঙ্গু চার রকমের ভাইরাস দ্বারা হয়, তাই চারবার হতে পারে। চিকুনগুনিয়া একবার হলে পরবর্তীতে আর হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুঝুঁকি একবারেই নেই। ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি থাকে। তাই চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্ক বা ভয়ের কিছু নেই। চিকুনগুনিয়ার একমাত্র চিকিৎসা বিশ্রাম ও প্রচুর পানি পান। চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় চিকিৎসার জন্য কোনো বিশেষ ওষুধ নেই। ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ দিয়ে জ্বর এবং জয়েন্টের অস্বস্তি কমানো যায়। ফিজিওথেরাপি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার জন্য উপকারী হতে পারে।</span></span></span></span></p>