<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রবিবার রাত ৯টা। বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার পার হয়ে মেট্রো রেলের নিচ দিয়ে সংসদ ভবনের পেছনের সড়কে প্রবেশ করতেই শুরু হয় অন্ধকার। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির দুই পাশের বাতিগুলো বন্ধ থাকয় ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। একসময় সবচেয়ে সুরক্ষিত এই এলাকা এখন সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে সংসদ ভবন এলাকা পড়লেও সংসদ ভবনের পেছনের অংশের সড়ক এবং চন্দ্রিমা উদ্যানের সড়ক বাতিগুলোর (চন্দ্রিমা উদ্যানের) দেখভালের দায়িত্ব পূর্ত বিভাগের। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সড়ক বাতিগুলো বন্ধ থাকলেও কারণ অজানা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানতে চাইলে পূর্ত বিভাগের সংসদ ভবন এলাকায় দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এখানে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে কেবল চুরি। সংসদ ভবন এলাকার ওই অংশটি যেখানে আগে ছিল সুরক্ষিত, এখন সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত। যার কারণে কেবল লাগানো হলেই চুরি হয়ে যাচ্ছে। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি দায়িত্বশীল আনসারসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সচিবালয়েও এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। গতকাল (সোমবার) দিনভর কাজ করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাতিগুলো পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালিয়েছিলাম। বৃষ্টি আসায় বাতিগুলো বন্ধ করা হলে রাত ১০টার দিকে আবার কেবল চুরি হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চন্দ্রিমা উদ্যানের বাতির বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি চন্দ্রিমা উদ্যানের বাতির জন্য আলাদা একটি ডিজাইন করছি। দ্রুত আমরা সেটি বাস্তবায়নে যাব। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে সাময়িকভাবে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য। আমরা সেটা করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের দিক থেকে মেট্রো রেলের নিচ দিয়ে সংসদ ভবনের পেছনের সড়কে প্রবেশ করতেই শুরুর সড়ক বাতিটিসহ বন্ধ রয়েছে এসপিবিএন-২-এর নিরাপত্তা বক্স পর্যন্ত সব সড়ক বাতি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একদিকে সড়ক বাতি নেই, অন্যদিকে পাশের লেক ঘেঁষে চন্দ্রিমা উদ্যানের ভেতরেও জ্বলছে না কোনো লাইট। তাই অন্ধকারে শুধু গাড়ির আলোই পথ দেখার একমাত্র ভরসা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কথা হয় সৈয়দ আলী আশরাফ নামের এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি প্রায় প্রতিদিনই হাঁটতে আসেন এই সড়কের ওয়াকিং জোনে। দুই মাসের বেশি সময় সড়ক বাতিগুলো না জ্বললেও এতে কারো ভ্রুক্ষেপ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই ব্যক্তি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই মাস ধরে দেখছি বাতিগুলো জ্বলছে না। এটা নিয়ে কারো মাথাব্যথা আছে বলেও মনে হয় না। মাঝেমধ্যেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত সড়ক বাতিগুলো চালু করা দরকার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পূর্ত বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, সংসদ ভবনের পেছনের রাস্তাটি আগে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল না। থাকলেও কিছু সময় উন্মুক্ত রেখে নির্দিষ্ট সময় পর সেটি বন্ধ রাখা হতো। একই সঙ্গে সেখানে মানুষের উপস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রিত। এখন নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বে না থাকায় ভবঘুরেদের আনাগোনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দীর্ঘ সময় নষ্ট থাকার পরও কেন সড়ক বাকিগুলো ঠিক করা যাচ্ছে  না সে বিষয়ে জানতে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।</span></span></span></span></span></p>