<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিন্ডিকেটের সীমাহীন দুর্নীতিতে মালয়েশিয়ার আকর্ষণীয় শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শোষণের ফাঁদে পরিণত হয়েছিল। ওই ফাঁদে পড়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। সরকার অভিবাসন খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করলেও কর্মীরা জনপ্রতি সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। আইনে নিষিদ্ধ হলেও ভিসা কেনাবেচা হয়েছে। প্রতিটি ভিসা ন্যূনতম ছয় হাজার রিঙ্গিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোতে কিনতে হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের মূল হোতাদের কর্মীপ্রতি এক লাখ ৪২ হাজার টাকা করে চাঁদাও দিতে হয়েছে। এভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুই দেশের সিন্ডিকেট। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু সিন্ডিকেটের দুর্নীতি নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল একেবারে শেষ সময়ে। শেষ সময় গত ৩১  মে নির্ধারিত থাকলেও  কিছু ক্ষেত্রে ৩০ ও ৩১ মে-ও  অনুমোদন দেওয়া হয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ২০২২ সালের ৮ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৩ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র পেয়েছিলেন চার লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জন কর্মী। এঁদের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে পেরেছিলেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৬৪২ জন। অর্থাৎ ১৮ হাজার কর্মীর অনুমোদন ও ছাড়পত্র থাকলেও তাঁরা যেতে পারেননি। এই যেতে না পারা কর্মীরা অনুমোদন পেয়েছিলেন শেষ সময়ে।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বর্তমানে এই ক্ষতিপূরণের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীকে সে দেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গত শনিবার রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয় একাত্তর হলে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এবং মালয়েশিয়ার পার্কেসোর মধ্যে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ড. আসিফ নজরুল ওই অনুষ্ঠানে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুক্রবার (৪ অক্টোবর)  মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমরা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করার আগে ১৮ হাজার কর্মীর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, প্রতিশ্রুতি মানেই নিশ্চিত নয়। মালয়েশিয়ায় আমাদের হাইকমিশন এবং আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে যত দ্রুত সম্ভব প্রচেষ্টা চালাব। আজকে (গত শনিবার) রাতে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে মিটিং আছে, সেখানে আমি বিষয়টি নিয়ে আলাপ করব। আমরা একটা রোডম্যাপ তৈরি করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। এর একটি হচ্ছে, মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার পুনরায় চালু করা। পাশাপাশি রিক্রুটমেন্ট প্রসেস যে ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তা উন্মুক্ত করে দেওয়া। আমরা উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে কাজ করতে পারে এবং প্রক্রিয়াটি যেন স্বচ্ছ হয় সে বিষয়েও কথা বলেছি। তৃতীয়ত, কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা যায় কি না সে বিষয়টি ভেবে দেখতে। আমার কাছে মনে হয় তিনি এটি মানবিক দৃষ্টি থেকে বিবেচনায় নিয়েছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>