<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ১৪৯টি ভোটকেন্দ্রে পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৭৮৮ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য ছয় দিনের জন্য অঙ্গীভূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের জন্য মোটা অঙ্কের টাকায় নতুন পোশাক কিনে জেলায় জেলায় বিতরণ করা হয়। এসব  পোশাক বেশির ভাগ ব্যবহার অনুপযোগী (ছোট) হওয়ার কারণে নির্বাচন শেষে আবার সেগুলো পরিবর্তনের কথা বলে সদর দপ্তরে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে আর সেসব পোশাক পরিবর্তন করে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগপন্থী সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হকসহ বাহিনীর একটি সিন্ডিকেট যোগসাজশ করে এসব করে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ভাণ্ডারে পড়ে আছে বিপুল অঙ্কের ব্যয়ে তৈরি এসব অনুপযোগী  পোশাক। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাহিনীটির সদর দপ্তরের উপপরিচালক (প্রভিশন ও অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাণ্ডার) আশরাফুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব পোশাকের বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে এসব সিদ্ধান্ত আসবে। এ মুহূর্তে কী পরিমাণ পোশাক ভাণ্ডারে আছে এবং এসব কী করা হবে, তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াতের টাকা মেলেনি প্রায় এক বছরেও : ২০২৩ সালে দেশব্যাপী অস্থিরতার কারণে অপারেশন সুরক্ষিত যাতায়াতের আওতায় রেলপথের নিরাপত্তায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ ডিউটি চলে ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কয়েক দফায় মোট ৫৮ দিন ডিউটি করেন তাঁরা। ভাতা পেয়েছেন মাত্র ২৮ দিনের। আরো ৩০ দিনের ভাতা বকেয়া। কনকনে ঠাণ্ডায় ডিউটি করেও কবে পাবেন সেই ভাতা, তা আদৌ জানেন না কেউ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগী আলামিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কনকনে শীতে ডিউটি করেছি। প্রায় এক বছর হতে চললেও ৩০ দিনের টাকা এখনো পাইনি, বড় কষ্ট লাগে। টাকার কথা বলতে গেলে বলে বাজেট আসে নাই, তাই দেওয়া যাচ্ছে না। বাজেটই যদি না থাকে, আমাদের কেন ডিউটি করাল?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানতে চাইলে সদর দপ্তরের পরিচালক (অর্থ) মোহা. শফিকুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অর্থ না দিলে তো আমরা দিতে পারছি না। আমাদের অপারেশন শাখা এটা নিয়ে কাজ করছে। বাজেট পাস হলে সদস্যরা টাকা পাবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p>