<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের ৮২টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছেন আদালত। ফলে এসব হিসাবে তাঁর ৩০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা জমা থাকলেও তিনি লেনদেন করতে পারবেন না। আদালত ও দুদক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. জাহাঙ্গীর আলমের বেতন-ভাতা ছাড়া অন্য কোনো বৈধ আয়ের উৎস নেই। তিনি অজ্ঞাত উৎস থেকে অর্জিত ১৩৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৮২টি হিসাবে লেনদেন করেছেন। আয়কর নথিতে তিনি চার কোটি ১০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। অথচ তাঁর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে বর্তমানে ৩০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ করাসহ নিজ নামে/তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর নামের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে। এ জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর বিধি ১৮ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১৬ প্যারা ১৪-এর বিধান মতে তাঁর অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধকরণের আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদনে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান উল্লেখ করেন যে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অস্থাবর সম্পদগুলো অন্যত্র হস্তান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সম্পদগুলো অবিলম্বে অবরুদ্ধকরণ আবশ্যক। পরে শুনানি শেষে গত ১৪ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জব্দ হওয়া ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি বসুন্ধরা শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে ১২ হাজার ৬৭৭ টাকা রয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসিতে ১২টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি সঞ্চয়ী হিসাব, একটি ডাবল বেনিফিট স্কিম ও ১০টি এফডিআর হিসাব রয়েছে। এই হিসাবগুলোতে তিন কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৩৮১ টাকা রয়েছে। আইডিএলসি ফিন্যান্স পিএলসি উত্তরায় ১৭টি এফডিআর রয়েছে। এসব হিসাবে তাঁর সাত কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা রয়েছে। ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পিএলসির দুটি শাখায় তাঁর ৩১টি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (এফডিআর) রয়েছে। এতে ১২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮১৫ টাকা রয়েছে। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি গুলশান করপোরেট শাখায় ১৩টি এফডিআর এবং একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। সেখানে পাঁচ কোটি ১৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা রয়েছে। এ ছাড়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ধানমণ্ডি শাখায় পাঁচটি এফডিআর এবং একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। ব্যাংকের এই শাখায় তাঁর ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রয়েছে। </span></span></span></span></span></p>