<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সবজিবাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে কৃষকের কাছ থেকে কেনা দামেই রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি করছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাষির বাজার</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর মিরপুরে ৯ টাকা দরে প্রতি পিস লাউ ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছে সংস্থাটি। এ ছাড়া প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৪৮ টাকা, শসা ৩৯ টাকা, কচুর মুখি ৪৪ টাকা, ধুন্দল ৪৪ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এই চাষির বাজার থেকে পণ্য কিনছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন এখান থেকে কম দামে পণ্য কিনে বিক্রি করতে না পারেন সে জন্য একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ সাত কেজি পণ্য কিনতে পারছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চাষির বাজারে বিক্রি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে লাউ প্রতি পিস ৯ টাকা, এক কেজি পেঁপে কেজি ২২ টাকা, করলা ৫০ টাকা, শসা ৩৯ টাকা, ঢেঁড়স ৪৮ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা পিস, কচু পাঁচ টাকা পিস, চালকুমড়া ২৫ টাকা পিস, কাঁচা কলা ২৮ টাকা হালি, বেগুন ৫৫ টাকা কেজি, ধুন্দল ৪৪ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৪৮ টাকা কেজি, ডাঁটাশাক চার টাকা আঁটি, লতি ৫৫ টাকা কেজি, মুলা ৩৩ টাকা কেজি, জলপাই ২৮ টাকা কেজি, আমলকী ৩৮ টাকা কেজি, লেবুর হালি ১০ টাকা, চালতা প্রতি পিস পাঁচ টাকা, আমড়া ৩৩ টাকা কেজি, কদবেল পিস ১৮ টাকা, কচুর মুখি ৪৪ টাকা কেজি, সবুজ মাল্টা ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাজারের চেয়ে অনেকটাই কম দামে কিনতে পারায় ক্রেতারা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এখান থেকে ব্যাগ ভরে পণ্য কিনছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাবিনা নামের এক ক্রেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লাউ, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, ধুন্দলসহ অনেক রকমের পণ্য কিনলাম। এত কম দামে এখান থেকে ব্যাগ ভর্তি পণ্য কিনতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিদ্যানন্দের কমিউনিকেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন অসহনীয় হয়ে গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যানন্দ কেনা দামে সবজি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে আনার কারণে আমরা পণ্যগুলো কম দামে এনে বিক্রি করতে পারছি। আর আমরা শুধু পরিবহন খরচটা ধরে পণ্যগুলো বিক্রি করছি। আমরা এই বাজারের নাম দিয়েছি চাষির বাজার। গত ১৯ অক্টোবর থেকে আমাদের এই বাজার আজকে পর্যন্ত চলমান।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২৩টির অধিক কৃষিপণ্য আমরা বিক্রি করছি। আমরা প্রতিবছর এই সবজির বাজারের আয়োজন করি। গত বছরও আমরা এই আয়োজন করেছি। আমরা পণ্যগুলো রাজশাহী, খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></p>