<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজন খুন হয়েছেন। তাঁরা হলেন শারফিন ইসলাম সোহেল (৩৮), আমেনা আক্তার (৩২) এবং ফারাহ দীবা (৬০)। তাঁদের মধ্যে সোহেল দক্ষিণখান, আমেনা আক্তার উত্তর বাড্ডা এবং ফারাহ দীবা খুন হন মিরপুর ডিওএইচএসে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় রবিবার রাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সোহেল। পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুজন। দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক আব্দুল আউয়াল সরদার জানান, ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে মিরপুর ডিওএইচএসের নিজ বাসায় ফারাহকে খুন করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত রবিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে জানিয়ে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ফারাহ তাঁর স্বামী বিমানবাহিনীর সাবেক উইং কমান্ডার (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল মতিন ও পরিবারের সঙ্গে মিরপুর ডিওএইচএসের ১০ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। এক ছেলে ও এক মেয়ে তাঁদের সঙ্গেই থাকেন। দুপুরের দিকে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। সে সময় বাসায় কেউ ছিল না। পরে পরিবারের সদস্যরা বাসায় ফিরে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার পর থেকে বাড়ির কেয়ারটেকার ও গাড়িচালক পলাতক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে গতকাল ভোরে উত্তর বাড্ডার ২৬ নম্বর লেনের রমজান মিয়ার ফার্নিচারের কারখানা থেকে আমেনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, বাড্ডার পূর্বাঞ্চল এলাকার ফার্নিচারের একটি দোকান থেকে আমেনার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফার্নিচারের দোকানে রাতে একজন কর্মচারী থাকেন। গত রবিবার রাতে সবাই দোকান বন্ধ করে চলে যাওয়ার পর এক নারীকে নিয়ে ওই কর্মচারী দোকানের ভেতরে ঢোকেন। গতকাল সকালে দোকান থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।</span></span></span></span></p>