<p>স্কুলের কনসার্টে গিয়ে বসাকে কেন্দ্র করেই খুন হয়েছিল ফাহমিদ তানভীর রাজিন (১৫)। খুলনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র রাজিনের নামেই তার বাড়ির নামকরণ করা হয় ‘শহীদ রাজিন স্মৃতি নীড়’। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি রাজিনের মৃত্যুর পর থেকে ওই নীড়েই প্যারালাইজড অবস্থায় পড়ে আছেন পিতা শেখ জাহাঙ্গীর আলম। মাতা রেহেনা খাতুন খুলনা পুলিশ লাইনস স্কুলের শিক্ষিকা। রাজিন তাঁর কাছে এখন শুধুই স্মৃতি।</p> <p>খুলনায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হওয়া রাজিন হত্যা মামলায় ২০২২ সালে যে রায় হয়েছিল তাতেও ১৭ জনের সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। যদিও তিন দিনের মাথায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে বের হয়ে যায়।</p> <p>স্কুলছাত্র রাজিন ছাড়াও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নগরীর শেরেবাংলা রোডে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ইয়াসিন নামের এক যুবককে। রাজিনের মতো ইয়াসিন হত্যার সঙ্গেও জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। হামলাকারীদের বয়স ছিল ১৫ থেকে ১৮ বছর।</p> <p>হত্যার পাশাপাশি এসব কিশোর মাদকদ্রব্য বিক্রির সঙ্গেও জড়িত। কিশোর গ্যাংয়ের এমন উৎপাত নিয়ে অভিভাবকসহ রীতিমতো ভাবিয়ে তোলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও। শুরু হয় তালিকা প্রস্তুত এবং তাদের দমন প্রক্রিয়া। কারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় সেটি নিয়েও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ে, কিন্তু বিগত সরকার আমলে আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের নাম প্রকাশে অনীহা ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের। এভাবে আইনি ফাঁকফোকর, ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়সহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে অধরাই থেকে যায় খুলনার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।</p> <p>খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন উপপুলিশ কমিশনার বলেন, নতুন করে আবার কিশোর গ্যাং এবং তাদের প্রশ্রয়দাতাদের তালিকা করা হচ্ছে।</p> <p>অনুসন্ধানে জানা যায়, খুলনা মহানগরীর মধ্যে খালিশপুর, সোনাডাঙ্গা ও টুটপাড়া এলাকায়ই কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেশি। এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলেও আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায় উল্লেখ করে সিনিয়র আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট অলিউল ইসলাম বলেন, এ ক্ষেত্রে শিশুর বয়সসংক্রান্ত আইনটি পরিবর্তন করা দরকার।</p> <p> </p> <p> </p>