<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঢাকা-যশোর নতুন রেলপথ ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত। ১৫ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হবে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশনে সিগন্যালিংয়ের কাজ কিছুটা বাকি থাকলেও ট্রেন চালাতে সমস্যা হবে না বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। নতুন এ রেলপথ চালু হলে যশোর থেকে ট্রেনযোগে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব ও ভ্রমণের সময় কমে অর্ধেকে নামবে। মাত্র তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে যশোর অথবা যশোর থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে। তবে খুলনা রুটের ট্রেন ধরতে যশোরের যাত্রীদের ব্যবহার করতে হবে পদ্মবিলা নামে নতুন জংশন; যা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার দূরে। এটা ট্রেন যাত্রীদের জন্য নতুন বিড়ম্বনা সৃষ্টি করবে। ফলে নতুন রেলপথ চালু হলেও ট্রেনগুলো যশোর অঞ্চলের যাত্রী কতটা পাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে যশোর রেল জংশন হয়ে ট্রেন চালু, ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি, যশোর থেকে যমুনা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল অব্যাহত রাখা, ট্রেনভাড়া সাশ্রয়ী রাখা, যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে সবজি ও ফুলবাহী বগি সংযুক্ত করা প্রভৃতি দাবিতে যশোরে বেশ কিছুদিন ধরে নাগরিক আন্দোলন চলছে। তবে নাগরিকদের দাবি মেনে নেওয়ার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ। প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে মোট ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরইসি সিঙ্গল লাইনের ১৬৬ কিলোমিটারের রেলপথটি নির্মাণ করছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ রেলওয়ে যশোরের সহকারী প্রকৌশলী গৌতম বিশ্বাস জানান, রেললাইন বসানো, দরকারি স্টেশন নির্মাণ এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থা সম্পন্ন করার পর </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টেস্ট রান</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> করতে হয়। গেল জুলাই মাসে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত বিভিন্ন গতিতে ট্রেন চালিয়ে টেস্ট রান করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপপরিচালক শামীমা নাসরিন কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রকল্পের অধীন নতুন ২০টি স্টেশন বানানো হয়েছে। ভাঙ্গা জংশনের কাজ খানিকটা বাকি থাকলেও রেলপথটিতে ট্রেন চালাতে তেমন কোনো সমস্যা নেই।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল হোসেন মো. শামীম কালের কণ্ঠকে জানান, নতুন রেলপথটি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণাই শুধু বাকি। প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আফজাল হোসেন নভেম্বরের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে রেলপথটি উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানিয়ে বলেন, এরই মধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দেখা করে তারিখ চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ করে সচিব তারিখ জানাবেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে ঢাকা যাতায়াতের ক্ষেত্রে অন্তত পাঁচটি ট্রেনসহ অন্যান্য দাবি আদায়ে যশোরে চলছে নাগরিক আন্দোলন। </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নামের এই মঞ্চটি বেনাপোল-যশোর-ঢাকা রুটে দিনে দুটি, চুয়াডাঙ্গার স্থলবন্দর দর্শনা-যশোর-ঢাকা রুটে দুটি এবং খুলনা-যশোর-যমুনা সেতু-ঢাকা রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চায়। এই দাবি পূরণ না হলে তারা শিগগিরই রেলপথ ঘেরাও করবে বলে বুধবার রাতে সিদ্ধান্ত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্যদিকে নতুন রেললাইন উদ্বোধনের পর রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা-খুলনা রুটের ট্রেনগুলো যশোরের নবনির্মিত পদ্মবিলা জংশন ব্যবহার করবে। এর মানে এই রুটের ট্রেনগুলো ১৮৮৩ সালে নির্মিত দেশের অন্যতম প্রাচীন জংশন যশোরে আসবে না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সার্বিক অবস্থায় ঢাকা-খুলনা রুটের ট্রেন যশোরের যাত্রী টানতে ব্যর্থ হতে পারে বলে মনে করছেন </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৃহত্তর যশোর রেল যোগোযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> আহ্বায়ক কাওসার আলী। তিনি বলছেন, সেবা সম্প্রসারণের জন্য এই ট্রেন অবশ্যই যশোর জংশন হয়ে চালাতে হবে। আর দর্শনা-যশোর-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস না দিলে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও মোবারকগঞ্জ স্টেশন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ট্রেনে ঢাকা যাতায়াতের সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, খুলনা ও যশোর এলাকার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার রেল যোগাযোগ ছিল উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ হয়ে। যমুনা সেতু হওয়ার আগে এই পথে ট্রেন যাত্রীদের স্টিমারও পার হওয়া লাগত। পদ্মা সেতু হওয়ার পর খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে একজোড়া ট্রেন চলাচল করছে। এতে ঢাকা-যশোর ভ্রমণকারীদের সময় বাঁচছে দুই ঘণ্টার মতো। আর যশোর থেকে নড়াইল হয়ে ট্রেন চালু হলে সময় বাঁচবে আরো বেশি। মাত্র তিন ঘণ্টায় যশোর থেকে ঢাকা যাওয়া বা ঢাকা থেকে যশোরে আসা যাবে। খুলনা থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় লাগবে এর চেয়ে ঘণ্টাখানেকের মতো বেশি।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>