<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী ও বিতার্কিক ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যার দুই বছর হলো। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফারদিন হত্যা মামলা তদন্তে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলে হত্যার বিচারের কূলকিনারা না পেয়ে ফারদিনের মা-বাবা অসহায়ত্বের মতো জীবন যাপন করছেন। তাঁরা বলছেন, ছেলেকে হারিয়েছি, বিচারটুকু তো পাব?  ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার চাইত না তাদের দোসরদের শাস্তি হোক। কিন্তু এখন তো সেই মামলায় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারে?  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই হত্যা মামলার তদন্তের কোনো সুরাহা করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবারের দাবি, ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের অনুষ্ঠান প্রতিহত করতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ক্যাম্পেইন শুরু করেন সে ক্যাম্পেইনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ফারদিন। তখন থেকে ছাত্রলীগের টার্গেটে পরিণত হন তিনি। আর এই হত্যার টার্গেট বাস্তবায়নে মূল পরিকল্পক বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র নেতা এবং ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এম এ সবুর এবং ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল হক মঞ্জু।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন রানা জানান, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মরিয়া ছিল ইঞ্জিনিয়ার এম এ সবুর এবং মনজুরুল হক মঞ্জু। তাঁদের নেতৃত্বে ফারদিনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এম এ সবুর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য (কুমিল্লা- ২) নির্বাচিত হন। আর প্রকৌশলী মঞ্জু এমপি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নূরউদ্দিন জানান, আবরার ফাহাদ ও ফারদিন নূর পরশ দুজনই ছাত্রলীগের হত্যাকাণ্ডের শিকার। ভারত বিরোধিতার কারণে ফাহাদ হত্যাকাণ্ড (সিসিটিভি ফুটেজ শিক্ষার্থীদের হাতে চলে আসায়) প্রমাণিত হয়।  কিন্তু ফারদিনের বেলায় তা ঘটেনি। এর কারণ পরিকল্পনা মতে ফারদিনকে বান্ধবী বুশরার ক্যাম্পাসের বাইরে রেখেছে খুনিচক্র। তারা শহরজুড়ে ভিকটিমের (অপহরণের কারণে<br /> অস্বাভাবিক মুভমেন্টের অকাট্য প্রমাণ (সিসিটিভি ফুটেজ) আড়ালে রাখতে ব্যবহার করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে (পুলিশ লীগ হয়ে ওঠা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী), যা ছিল বুয়েটের সাবেক নেতাদের  </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাস্টারমাইন্ড কিলিং প্ল্যান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালের ৪ নভেম্বর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন নূর পরশ ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফারদিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, হত্যাকাণ্ডের দুই মাসের মধ্যে মূল তদন্ত সংস্থা ডিবি ফারদিন আত্মহত্যা করেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করলেও দেড় বছরের মধ্যেও অধিকতর তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডি পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি আদালতে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল  সিআইডি এর তদন্তভার পান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শনিবার সন্ধ্যায় এই মামলা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে সিআইডির কর্মকর্তা এডিসি শরাফত উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, অফিস সময়ের বাইরে কিছু বলতে পারবেন না। অফিস সময়ের মধ্যে কল দিলে বলবেন। তবে রবিবারও না, সোমবার কল দিলে এ বিষয়ে কথা বলবেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সন্তান হত্যার ঘটনায় শোকার্ত পরিবারের দাবি, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ফারদিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আর তৎকালীন পুলিশ লীগ তদন্ত প্রহসনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে, যা বিস্ময়কর ও হতাশাজনক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ফারদিনের ক্যাম্পাসের বন্ধু এবং শিক্ষকরাও ফারদিন হত্যার রহস্য উন্মোচন না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। ১৮ ব্যাচের ফারদিনের বন্ধু শিশির বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবার থেকে ছাত্রলীগের বিষয়ে দাবি জানানো হচ্ছে, এগুলোসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করে দ্রুত সময়ে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অনুরোধ করছি। কারণ, দুই বছর হয়ে গেলেও দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠের একজন শিক্ষার্থীকে কারা মেরে ফেলল তা বের করা গেল না। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই, সঠিক তদন্তে প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>