<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। এই কাজে সমন্বিতভাবে যুক্ত ছিলেন ড. আবুল বারকাত, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ড. মো. আইনুল ইসলাম, ড. জামালউদ্দীন আহমেদ ও প্রফেসর হান্নানা বেগম। অর্থনীতি সমিতির পদ ও ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক হয়ে ঋণ দিয়ে খেলাপি করানো, বিদেশে টাকা পাচারের পাশাপাশি ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন করে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করেছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার ইস্কাটনে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির উদ্যোগে গঠিত অ্যাডহক কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলে। এ সময় তারা গত মে মাসে গঠিত আওয়ামীপন্থী কার্যনির্বাহী কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিষিদ্ধ কমিটির অধীনে চলতি বছরের মে মাসের নির্বাচন ছিল প্রহসনের। সাড়ে আট হাজার ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছিলেন মাত্র ৮০০ জন। কুষ্টিয়া ও ময়মনসিংহ থেকে তিনটি বাসভর্তি ভাড়াটে লোক ভোট শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে এসে ভোট দিয়ে যায়। অনেকের সমিতির সদস্য হওয়ার যোগ্যতা ছিল না। এভাবে তারা ২০০২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, সংগঠনের সাবেক সভাপতি ড. আবুল বারকাত সমিতিকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। স্বজ্ঞানে হাজার হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ দিয়ে জনতা ব্যাংককে ধ্বংস করেছেন তিনি। এরপর সহসভাপতি ড. জামালউদ্দীন আহমেদ জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়ে নতুন করে আবার খেলাপি ঋণ দিয়ে জনতা ব্যাংককে দ্বিতীয় দফায় ধ্বংস করেন। শেখ হাসিনাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাইয়ে দিতে লবিস্ট নিয়োজিত হয়ে ৩৫ জনের দল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার অপচয় করেছেন বারকাত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, সমিতির শেষ কমিটির সভাপতি ড. খলীকুজ্জমান সব ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণের প্রবিধি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া আর্থিক খাতের সার্চ কমিটিরও সভাপতি ছিলেন। আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণ দিতে টাকা পাচারে সহায়তা করতেন। এস আলমের টাকা পাচারেও তাঁর ভূমিকা ছিল। এ ছাড়া শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মালিকানা পরিবর্তন করে এস আলম গ্রুপের হাতে দেওয়ার নেপথ্যে অর্থনীতি সমিতি কাজ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>