<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাতিল হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীনে থাকা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহবান জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের ট্রায়ালওয়াচ ইনিশিয়েটিভ ও বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) যৌথভাবে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে এ ব্যাপারে। বাংলাদেশ সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ও আমেরিকান সময় সকালে শ্বেতপত্রটি এই দুই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রকাশিত শ্বেতপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০১৮ সালে বাতিল হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের অধীনে থাকা সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা উচিত। বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে, যা দেশের কঠোর সাইবার আইনগুলোর পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি সাইবার আইনের আওতায় থাকা সব মত প্রকাশ সম্পর্কিত মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা যথার্থ দিকনির্দেশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বহুদিন ধরে এমন কিছু আইন প্রচলিত রয়েছে, যেগুলো আপত্তিকর মন্তব্য, মিথ্যা তথ্য কিংবা এমন কোনো তথ্য, যা আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ইত্যাদি সংবেদনশীল শব্দগুলোর অস্পষ্ট সংজ্ঞা দিয়ে আইনের মাধ্যমে মানুষের মত প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। প্রকৃত অর্থে এসব আইনকে ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমতকে দমন করা হয়েছিল এবং গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যদিও ৫৭ ধারা ও ডিএসএ বাতিল করা হয়েছে, তবু সরকারি তথ্য অনুসারে, ডিএসএ ও আইসিটি আইনের অধীনে দায়ের করা এক হাজারেরও বেশি মত প্রকাশ সম্পর্কিত মামলা এখনো চলছে। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ট্রায়ালওয়াচের পর্যবেক্ষণে থাকা একটি মামলাও এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হ্যাকিং, যৌন হয়রানি ও অন্যান্য গুরুতর সাইবার অপরাধের বিচার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা আইন অত্যন্ত অস্পষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ। এর মধ্যে বিরোধী মতকে দমন করার অনেক উপাদান রয়েছে। তাই আমরা এই আইনের অধীনে দায়ের করা সব মামলাকে বাতিল করার আহবান জানাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই যৌথ শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে এখন আইসিটি আইনের অধীনে থাকা সব মামলা বাতিল করা উচিত, কারণ এগুলোর আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। সাধারণ আইন অনুসারে যখন কোনো আইন বাতিল করা হয়, তখন তা কার্যত অতীত হয়ে যায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>