<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালে শুরু হয়েছিল ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকার সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের হাজার কোটি টাকার কাজ। এসব কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছরেরই ডিসেম্বরে। কিন্তু সেই স্বপ্নের প্রকল্পে বড় বাধা হয়ে আসে করোনা। এরপর কাজ শুরু হলেও এবার সরকার পতনের পর সেসব কাজ নতুন করে মুখ থুবড়ে পড়ার দশা হয়েছে। সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তবে অনেক প্রকল্পের কাজের ধীরগতিতে সিটি কর্তৃপক্ষ বিব্রতকর অবস্থায় আছে। অনেক কাজ অসমাপ্ত বা অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোনো কোনো ঠিকাদারের কাজের গতি খুবই ধীর। এদিকে অসমাপ্ত কাজগুলোতে জনভোগান্তিও বাড়ছে। এসব প্রকল্পের কাজ কবে শেষ হবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে এ নগরীর নতুন যুক্ত এলাকাগুলোসহ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি এবং নতুন ও পুরনো ড্রেন নির্মাণে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ২০২১ সালেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এসব কাজ সম্পাদনে চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। পুরো প্রকল্পে ছিল মোট ৮৪টি প্যাকেজ। মোট ৪৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে যুক্ত হয়। এর মধ্যে দেশের অনেক পরিচিত ও বড় বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও ছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রকল্পের শুরুতে কাজের গতি ছিল বেশ ভালো। তবে ধীরে ধীরে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানেরই কাজের গতি কমতে থাকে। চলতি বছরের শুরু থেকেই অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের ক্ষেত্রে বেশ ঢিলেঢালা ভাব দেখায়। সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় ঠিকাদারদের ঢিলেঢালা ভাব আরো বাড়ে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যায় সরকার পতনের পর। অনেক ঠিকাদার কাজই বন্ধ করে দেন। অনেকের রাজনৈতিক পরিচয় ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকায় তাঁরা আড়ালে চলে যান। ব্যাংকিং ঝামেলায় পড়ে যায় অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থবির হয়ে যায় অনেক প্রকল্প। সম্প্রতি আবার কিছু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৯১ প্যাকেজের আওতায় নগরীর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নতুন বাজার সড়কটি দিয়ে পাইপ ড্রেন নির্মিত হয়েছে। ড্রেনটি ব্রহ্মপুত্র নদে গিয়ে মিশেছে। এ কাজটি এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। কাজের অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বাজার সড়কটি কার্পেটিং করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখনো তারা কাজ শুরু করেনি। কাজ বন্ধই আছে। পুরো প্যাকেজের কাজটি গত বছরের ২০ আগস্ট শুরু হয়েছিল। এ কাজটির জন্য সিটি কর্তৃপক্ষ বারবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম। কাজটি করছে জান্নাত এন্টারপ্রাইজ। কাজটি শেষ হওয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কমবেশি জটিলতা সৃষ্টি করেছে। তবে বর্তমানে সিটি করপোরেশন চেষ্টা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজটি দ্রুততম সময়ে শেষ করতে। বর্তমানে সড়কটির শুধু কার্পেটিংয়ের কাজ বাকি আছে। মেকাডমের কাজ শেষ হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১০৫ নম্বর প্যাকেজে নগরীর বলাশপুর এলাকায় ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকায় সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। এ কাজটি গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলতি বছরের ১১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার কোনো কাজ না করায় এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছেন। পরের ঠিকাদার ৩৯ শতাংশ কাজ শেষ করতে পেরেছেন। এ প্যাকেজটির সর্বশেষ সময়সীমা আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্যাকেজ ৩ ও ৬ এর আওতায় নগরীর ৩১ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজটি হাতে নিয়ে ৬০ শতাংশের মতো কাজ করে। পরে তারা আর কাজ করেনি। এ ব্যাপারে সিটি কর্তৃপক্ষ আইনি আশ্রয় নিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আইনি জটিলতায় বর্তমানে সেই কাজ বন্ধ আছে। সিটি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> করপোরেশন সূত্র জানায়, মোট ৮৪টি প্যাকেজের মধ্যে অন্তত ৩৮টির কাজ ৫০ শতাংশের নিচে। আর সবগুলো (৮৪টি) প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজ করছে ৪৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আজাহারুল হক জানান, বেশ কিছু সমস্যায় প্রকল্পের কাজগুলো গতি পাচ্ছে না। প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানোর জন্য দুই মাস আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p>