<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসন্ন জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলনকে (কপ-২৯) সামনে রেখে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে অধিক ও মানসম্মত অর্থায়নের দাবি করেছে নাগরিক সমাজ। ২০২৫ সালের মধ্যে লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল বার্ষিক ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ এবং ক্রমান্বয়ে এক থেকে দুই ট্রিলিয়নে রূপান্তরের দাবি জানিয়েছে তারা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে আসন্ন কপ-২৯-এ নাগরিক সমাজের বক্তব্য ও বিভিন্ন দাবিসংবলিত একটি পজিশন পেপার উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তারা এসব দাবি জানায়। ৪০টি নাগরিক এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের জোট ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যালায়েন্স-বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। আগামী ১১ থেকে ২২ নভেম্বর আজারবাইজানের বাকু শহরে কপ-২৯ অনুষ্ঠিত হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্মেলন সামনে রেখে অ্যালায়েন্সটির সমন্বয়কারী ও সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা অ্যালায়েন্সটির পক্ষ থেকে দাবিগুলো উপস্থাপন এবং ব্যাখ্যা  করেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের স্থলে প্রয়োজনভিত্তিক এবং ক্ষয়ক্ষতির আলোকে নতুন বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারণ করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তালহা জামাল বলেন, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণে নাগরিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে সরকারকে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, বহুজাতিক ও বহু পক্ষীয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি মুনাফাকেন্দ্রিক ঋণকেন্দ্রিক অর্থলগ্নির পরিবর্তে জলবায়ু বিপদাপন্ন মানুষ ও দেশের জন্য অভিযোজন, প্রশমন এবং লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। নাগরিক সমাজকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের কাজগুলো অব্যাহত রাখতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পরিবেশবাদী সংগঠন ধরার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. এ কে এম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।</span></span></p>