<p>ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ চোখের রোগ হিসেবে পরিচিত ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি। এটি এমন একটি অবস্থা যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রেটিনার রক্তনালিগুলোর ক্ষতির কারণে ঘটে। কারো যদি টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকে এবং রক্তে শর্করার মাত্রার অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘ ইতিহাস থাকে, তবে তার ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।</p> <p>যদিও অবস্থাটি সাধারণত হালকা দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সঙ্গে শুরু হয়, শেষে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিতে আক্রান্ত রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।</p> <p><strong>লক্ষণ</strong></p> <p>♦ ঝাপসা দৃষ্টি</p> <p>♦ অস্থির দৃষ্টি</p> <p>♦ ফ্লোটার</p> <p>♦ দৃষ্টিতে অন্ধকার বা খালি জায়গা</p> <p>♦ প্রতিবন্ধী রং দৃষ্টি</p> <p>♦ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস</p> <p> </p> <p><strong>ঝুঁকি</strong></p> <p>♦ দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াবেটিসে ভোগা</p> <p>♦ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস</p> <p>♦ অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ</p> <p>♦ গর্ভবতী অবস্থায় ডায়াবেটিস</p> <p>♦ নিয়মবহির্ভূত জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস</p> <p>♦ ধূমপান</p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>♦ ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর থেকে নিয়মিত প্রতিবছর একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ/রেটিনা বিশেষজ্ঞ দ্বারা চোখের রেটিনা পরীক্ষা করা</p> <p>♦ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা</p> <p>♦ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা</p> <p>♦ রক্তের চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা</p> <p>♦ স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার গ্রহণ</p> <p>♦ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা</p> <p>♦ নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়াম</p> <p>♦ নিয়মিত ওষুধ সেবন</p> <p>♦ দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা থেকে দূরে থাকা।</p> <p>♦ ধূমপায়ী হয়ে থাকলে তা বর্জন করা।</p> <p>♦ দৃষ্টিশক্তির ব্যাপারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে পেশাদার ও যুগোপযোগী পরামর্শ গ্রহণ ও মেনে চলা</p> <p> </p> <p><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p>ডা. মোহাম্মদ আফজাল মাহফুজউল্লাহ</p> <p>সহযোগী অধ্যাপক (ভিট্রিও-রেটিনা)</p> <p>ভিট্রিও-রেটিনা বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন, চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>