<p>সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁরা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সব ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।</p> <p>গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় দরকার রাজনৈতিক ঐক্য’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ মাইনরিটিস ওয়াচ ও হিউম্যান রাইটস অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষ। সংগঠনটির আহ্বায়ক মাহবুব হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ প্রমুখ।</p> <p>সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা কেন হয় তা নিয়ে শুধু আলোচনা হয়। কিন্তু এই হামলার কারণে কে লাভবান হচ্ছে এবং কী প্রক্রিয়ায় তা প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ লক্ষ করা যায় না। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। সেই অস্থিরতার মধ্যেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনা ও প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব হামলাকে সম্পূর্ণভাবে ধর্মীয় বিবেচনায় চিহ্নিত করা কঠিন। রাজনৈতিক কারণেও হামলা হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে জনরোষ ও ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।</p> <p>সংখ্যালঘু নয়, নাগরিক হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সমাজের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করে সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।</p> <p>রাজনৈতিক সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলছে বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হচ্ছে, এটি একটি রাজনৈতিক প্রচারণা। এই প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন। ভারতের পত্রপত্রিকার একটি অংশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে এখানে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে। এখানে একটা রাজনীতির জায়গা আছে। এই রাজনীতি যদি নতুন সরকারের বিরুদ্ধে করা যায়, তবে এদের দুর্বল করা যাবে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সুবিধা হচ্ছে। সরকারকে আমরা বলব সবার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’</p>