<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিদেশিদের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু ও অর্থনীতির ঝুঁকি তৈরি করছে। আমদানি করা এলএনজি এরই মধ্যে বিদ্যুত্সংকট ও রোলিং ব্ল্যাকআউটের দিকে দেশকে ঠেলে দিয়েছে। ফলে সব ধরনের প্রস্তাবিত এলএনজি বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং এলএনজি আমদানি অবকাঠামো পরিকল্পনা প্রত্যাহার করতে হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যয়বহুল এলএনজির বিস্তার : বিদেশিদের এলএনজি-সংক্রান্ত স্বার্থ যেভাবে বাংলাদেশের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি তৈরি করছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শিরোনামে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যৌথভাবে মার্কেট ফোর্সেস, ফসিল ফ্রি চট্টগ্রাম, ধরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। ওই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এলএনজি প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনালগুলোর জন্য বাংলাদেশকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এই প্রকল্পগুলোর কারণে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে, একই সঙ্গে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ খরচের চাপে রয়েছে। ব্যয়বহুল আমদানি করা এলএনজির ওপর নির্ভরতা অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। তাই এলএনজির ওপর ৫০ বিলিয়ন ডলারের এই বিনিয়োগের পরিবর্তে বাংলাদেশ ৬২ গিগাওয়াট (৬২ হাজার মেগাওয়াট) নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, যা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতার দ্বিগুণ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, প্রস্তাবিত ৪১টি নতুন গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন হবে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলোর প্রকোপ বাড়াবে এবং বায়দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম খারাপ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ধরার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া অ্যানার্জি অ্যানালিস্ট মুনিরা চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যানশিয়াল অ্যানালাইসিসের এনার্জি ফর বাংলাদেশের লিড অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম, মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার মেগু ফুকুজাওয়া এবং থ্রিফিফটি ডট ওআরজি সাউথ এশিয়ার মোবিলাইজেশন কো-অর্ডিনেটর আমানুল্লাহ পরাগ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক এবং গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক মুনিরা চৌধুরী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যায্যভাবে বিদেশি কম্পানিগুলো বাংলাদেশকে দূষণকারী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে নির্ভরশীল করার চেষ্টা করছে, যা কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিতে ২৪০ গিগাওয়াট (২,৪০,০০০ মেগাওয়াট) সৌর এবং ৩০ গিগাওয়াট (৩০,০০০ মেগাওয়াট) উপকূলীয় বায়ুশক্তির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নীতিনির্ধারকদের কাছে আহবান জানাচ্ছি, পরিকল্পিত এলএনজি প্রকল্পগুলোর তহবিল নবায়নযোগ্য শক্তি ও গ্রিড উন্নয়নের দিকে পুনর্নির্দেশ করা হোক।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>