<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বর্তমান সাংবিধানের কয়েকটি বিধান বাধা হয়ে আছে বলে মনে করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সুজনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে ওই সব বাধা অপসারণের সুপারিশ করা হয়েছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এর মেয়াদ ছয় মাস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> করার প্রস্তাব করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে যখন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে ছিল, তার মেয়াদ ছিল তিন মাস। এই সরকারের কাজ রুটিন দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিস্তৃত করার সুপারিশ করেছে সুজন। সে জন্যই মেয়াদ ছয় মাস করার প্রস্তাব করছে সংগঠনটি। সংসদের মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারার বিধান সংবিধানে যোগ করার সুপারিশও করেছে সুজন। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়সভায় এসংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সভায় কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী ও ফিরোজ আহমেদ অংশ নেন। সভায় সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাংবাদিক মাহফুজ আনাম ও মতিউর রহমান, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. জাহেদ উর রহমান, দিলীপ কুমার সরকার, মুফতি সাইফুল ইসলাম ও মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভায় সুজনের প্রস্তাবে বলা হয়, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবিধানিক এই বিধান বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বা সবার জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা দুরূহ হয়। কারণ দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনরা বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। তাই অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে যত নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে, সেগুলোতে ক্ষমতাসীনরা জয়ী হয়েছে। এ অবস্থায় এমনকি সবচেয়ে স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও প্রতিযোগিতামূলক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সহজ হবে না।</span></span></span></span></span></p>