<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা। মঞ্চে এলেন শিল্পীরা। বাদকদল বাদ্যযন্ত্র পরীক্ষা করে নিল। এরপর অবিরত নেমে আসে শুদ্ধসংগীতের স্রোতোধারা। চারজন শিল্পী একের পর এক রাগরাগিণীর সুরলয়ে মাতিয়ে রাখেন। হেমন্তের সন্ধ্যাটি হয়ে ওঠে সুর-মাধুর্যে ভরপুর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে বসে ছায়ানটের শ্রোতার আসর। রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে এদিন পরিবেশিত হয়েছে শুধুই শুদ্ধসংগীত। আয়োজনটি শুরু হয় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের রাগ পুরিয়া ধানেশ্রী দিয়ে। এই আসরে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুদীপ্ত শেখর দে, পূজা ঘোষ, প্রিয়ন্ত দেব ও শৌণক দেবনাথ ঋক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসরের প্রথম আধাঘণ্টার বেশি সময় পরিবেশিত হয় রাগ পুরিয়া ধানেশ্রী। শিল্পী সুদীপ্ত শেখর দে দুটি সংগীত পরিবেশন করেন। তাঁকে তবলায়, হারমোনিয়ামে ও তানপুরায় সঙ্গ দেন যথাক্রমে বাদল চৌধুরী, জোহান প্রতীক রোজারিও ও বিদিশা মণ্ডল। পূজা ঘোষ পরিবেশন করেন হিন্দুস্তানি সংগীতের অন্যতম মৌলিক রাগ ভূপালী। বলা হয়ে থাকে এ রাগ পরিবেশনের উপযুক্ত সময় সন্ধ্যা। এই পরিবেশনায় পূজাকে তবলায়, হারমোনিয়ামে ও তানপুরায় সঙ্গ দেন যথাক্রমে ইফতেখার আলম ডলার, তাহসিনুল ইসলাম অর্ক ও শুক্লা জয়ধর। প্রিয়ন্ত দেব ও শৌণক দেবনাথ ঋক যথাক্রমে পরিবেশন করেন রাগ বাগেশ্রী ও রাগ যোগ। তাঁদের বাদ্যে সংগত দেন আরো ছয় শিল্পী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাঙালিকে তার গানের ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে সংগীত রুচিতে আভিজাত্য আনতে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঘরোয়া আসর শুরু করে ছায়ানট। শ্রোতার আসরের প্রথম অনুষ্ঠান হয় মোখলেসুর রহমান সিধু ভাইয়ের ঢাকার র‌্যাংকিন স্ট্রিটের বাসায়। পরে সাংস্কৃতিক অন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ছায়ানট আরো নিবিড়ভাবে জড়িয়ে পড়ায় কয়েকটি অধিবেশনের পর আর হয়নি শ্রোতার আসর। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাধীন বাংলাদেশে নিজ আঙিনায় ছায়ানট আবার শ্রোতার আসর শুরু করে ২০০৭ সালের ২০ জুন, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী সুফিয়া কামালের জন্মদিনে। সংগীতে শ্রোতার চিত্ত উৎকর্ষ সাধনের উদ্দেশ্যে প্রথমে আয়োজন ছিল মাসিক। বর্তমানে বছরে ছয়টি আসরের আয়োজন করছে ছায়ানট। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাংলা মাসের চতুর্থ শুক্রবার সন্ধ্যায় ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে হচ্ছে অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের সঙ্গে নবীন শিল্পীদেরও এই আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করার সুযোগ রাখা হয়।</span></span></span></span></p>