<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গ্রামাঞ্চলে অগ্রহায়ণ নতুন ফসল তোলার মাস হিসেবে আনন্দ নিয়ে আসে। আত্মীয়-স্বজন মিলে এ সময়টা উপভোগ করে কৃষিনির্ভর পরিবারগুলো। বাংলার মানুষের শেকড় গ্রামে-গঞ্জে। তাই প্রতিবছর রাজধানীতেও উদযাপিত হয় নবান্ন উৎসব। গতকাল শনিবার ছিল পহেলা অগ্রহায়ণ। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা আয়োজনে নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় শিল্পী হাসান আলীর বাঁশির সুরে শুরু হয় এবারের আয়োজন। মাঝখানে কিছু সময় বিরতি দিয়ে আয়োজন চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ সময় নানা ধরনের গান, নাচ আর কবিতা দিয়ে জমিয়ে রাখা হয় এই আনন্দ আয়োজন। শহুরে মানুষের মনে নবান্নের আমেজ দিতে খই, মুড়িমুড়কি, মোয়া, মুরালি, বাতাসা দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন আয়োজকরা। বরাবরের মতো এবারও উৎসবের আয়োজক ছিল জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদ। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৫ বছর পূর্তি হলো নবান্ন উৎসবের। এবারের আয়োজন উদযাপন পর্ষদের সহসভাপতি প্রয়াত হাসিনা মমতাজকে উৎসর্গ করা হয় এবং তাঁর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন ধানবিজ্ঞানী ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান সুজা এবং সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ ও আবৃত্তিশিল্পী ও জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সহসভাপতি কাজী মদিনা। পর্ষদের সভাপতি লায়লা হাসান চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহসভাপতি মানজার চৌধুরী সুইট এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের সহসভাপতি সঙ্গীতা ইমাম, আফরোজা হাসান শিল্পী ও সাবরিনা হাবিব নিপু।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ধানবিজ্ঞানী ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আজ এ অনুষ্ঠানে এসে মনে হয়েছে, সত্যি সত্যিই ধানের ক্ষেত থেকে উঠে আসা মানুষ। আমাদের ধানের ফলন বেড়েছে। যাঁরা ধানের ক্ষেতে কাজ করেন, তাঁরাই আসল কৃষিবিজ্ঞানী। আমাদের সমৃদ্ধির জন্য তাঁরা সবচেয়ে বেশি কাজ করেন। কিন্তু পদ্ধতিগত কারণে তাঁদেরই আমরা সুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই না, তাঁদের অভাব যায় না। আমাদের এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি যে ধানের যে জাত সে নামেই বাজারে চাল থাকতে হবে। কিন্তু বাজারে নানা নামে চাল বিক্রি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। তাই আপনাদের দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে আমি অমুক জাতের চাল চাই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>