<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর ও দক্ষিণ মার্কেটের দোকান বরাদ্দের নামে গত ১৫ বছরে একটি সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে শতকোটি টাকা। দোকান বরাদ্দের নামে জালিয়াতি ছাড়াও চাঁদাবাজি ছিল ওপেন সিক্রেট। মার্কেটের পাঁচতলায় প্রায় ৩০০ দোকান। এর মধ্যে ১৯৩টিই কাগজপত্র জালিয়াতি করে ভুয়া পরিচয়পত্রের সাহায্যে বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোরগঞ্জের সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে মার্কেটটিতে এসব অনিয়ম ও দখলদারি চলে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ১৯৮৬ সালে গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া এলাকার ১০টি মার্কেট দোকান মালিকদের তালিকাসহ ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে হস্থান্তর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তালিকায় শুধু দোকান মালিকদের নাম ও পিতার নাম ছিল, কোনো ছবি বা ঠিকানা ছিল না। এই সুযোগে কিছু স্বার্থান্বেষী জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রেড সেন্টার দক্ষিণের ৬৩৭ জনের তালিকায় ৪৯টি এবং উত্তরের ৬০৮ জনের তালিকায় ১৪৬টি নাম যুক্ত করে ডিএসসিসিতে পাঠায়। অথচ নতুন যুক্ত করা কারোর নামেই মার্কেটে দোকান ছিল না। তারা সিটি করপোরেশনের তহবিলে প্রথম কিস্তি বাবদ ১৫ হাজার জমাও দেয়। এই বিষয় জানার পর প্রকৃত দোকান মালিকরা এই ভুয়া নাম্বার বাতিলের জন্য সিটি করপোরেশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করে। পরে এই ভুয়া নাম্বারের হোতাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুদক। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত দোকানগুলোর কিস্তির টাকা জমা না নিতে সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করে। তালিকায় ঠিকানা না থাকায় কাউকেই খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৭ সালে মূল দোকান মালিকদের লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ দেয় সিটি করপোরেশন। ভুয়া তালিকার কাউকে দোকান দেওয়া হয়নি। ২০১২ সালে দুদক উক্ত মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়। পরে আফজাল এমপিসহ তাঁর সিন্ডিকেট সিটি করপোরেশনের তৎকালীন অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আগের ভুয়া তালিকার অনেকের অনুপস্থিতিতে কাগজপত্র জালিয়াতি করে অন্যদের ৭০-৮০ লাখ টাকা করে নিয়ে দোকান বিক্রি করে। নতুনভাবে পাওয়া অবৈধ মালিকরা পাঁচতলায় দোকান পায়। বাকি সবগুলো দোকানের মালিকের ছবি, ঠিকানা ও ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে টাকা জমা দেয় এবং দোকান বরাদ্দ পায়। সিটি করপোরেশনের একজন কর কর্মকর্তা এই অন্যায় করতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, সিটি করপোরেশনের গা বাঁচানোর জন্য সাবেক গুলিস্তান হকার্স মার্কেটের (বর্তমানে ঢাকা ট্রেড সেন্টার উত্তর নামে পরিচিত) নেতারা দোকান মালিক সমিতির সদস্য না হয়েও সমিতির প্যাডে সার্টিফিকেট দিয়ে প্রায় দেড় শ দোকান বিক্রির মহোৎসবে অংশগ্রহণ করে। এভাবে আফজাল ও তাঁর সঙ্গীরা কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অভিযোগের বিষয়ে জানতে আফজাল হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে রিং দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়। গুলিস্তানে তাঁর অফিসে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তিনি ৫ আগস্টের পর মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দোকান বরাদ্দে জালিয়াতির বিষয়ে সিটি করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না জানতে চাইলে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টা আমাদের রাজস্ব বিভাগ দেখে, আমি বলতে পারছি না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরে রাজস্ব বিভাগের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টা আমাদের সম্পত্তি বিভাগ দেখে থাকে। মূলত সম্পত্তি বিভাগ আর রাজস্ব বিভাগ এসব বিষয়ে কাজ করে। জালিয়াতির অভিযোগ থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>