<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের জনগণকে উন্নয়নের মায়ায় ফেলেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ওই সময়ে নিম্নমানের শিক্ষা এবং বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ স্থবির থাকায় চাকরির অভাব দেখা দেয়। ফলে মানুষ চরম সংকটে পড়ে। আর এটিই স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনের পতনের পেছনে এটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সোমবার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল কথোপকথনে ভাষণ দেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একক বক্তব্যের শুরুতেই ড. দেবপ্রিয় বলেন, আজকে সরকার পতনের বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের গল্প বলতে চাই। অনেকের ধারণা, বাংলাদেশে কয়েক মাস আগে সরকার পতন হওয়ার বিষয়টি অসাধারণ হয়েছে। ইতিহাস থেকে দেখা যায়, কিভাবে কর্তৃত্ববাদ সরকারের পতন হয়। গত দেড় দশক ধরে এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা সফল করেছে ছাত্র-জনতা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, বিগত সরকার সাংবিধানিক বিষয় থেকে কিছু পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা থেকে সরে গিয়েছিল। ফলে প্রতারণার গণতন্ত্র বা হাইব্রিড গণতন্ত্র ছিল। কর্তৃত্ববাদী সরকার তিনটি স্তম্ভের ওপর ভর করে টিকে থাকে। এই তিনটি বিষয় হচ্ছে : মিথ্যা, ভীতি সৃষ্টি এবং উন্নয়নের মায়া। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্তৃত্ববাদী সরকার যা করে তার মধ্যে দুটি বিষয় থাকে। একটি হচ্ছে, দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এবং অন্যটি বর্জন করা হয়। ফলে এত দিন সব দিক থেকে দুর্ভোগের শিকার হয়েছে জনগণ। আর যাদের দেশকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল, তারা বর্জনের শিকার হয়েছেন।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় যে এখন কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। প্রতারণামূলক নির্বাচনব্যবস্থার অবসান করতে হলে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এমন কোনো কাঠামো নেই যেটা দিয়ে দেশ কার্যকরভাবে চলতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত মিথ্যা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল, সংখ্যা ও তথ্য ভুল প্রকাশ করা হয়েছে, যার ওপর নির্ভর করে দেশ চলে। এই মিথ্যা নির্বাচনের ফলাফল, বিনিয়োগের হিসাব, কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সব কিছুতেই পৌঁছে গিয়েছিল। এমনকি মিথ্যা তৎকালীন সরকারপ্রধানকেও ঘিরে ধরেছিল।    </span></span></span></span></p>