<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জনবল সংকটে ধারণক্ষমতার তিন গুণেরও বেশি রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ফলে মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতাল থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তার মঞ্জুরীকৃত পদ হলো দুই হাজার ২৯৫ জন। সেখানে কর্মরত আছেন এক হাজার ৮৬২ জন। শূন্যপদ ৪৩৩ জন। শূন্য পদের মধ্যে প্যাথলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, আবাসিক সার্জন, রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিক্যাল অফিসার, সহকারী সার্জন, ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার উল্লেখযোগ্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও গাজীপুরের একাংশ, সুনামগঞ্জের একাংশ এবং কুড়িগ্রামের রৌমারীর রোগীরাও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসে। এর মধ্যে প্রায় সবারই অভিযোগ, এখানে চিকিৎসাসেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রোগীদের অভিযোগ, এখানে ভর্তি হয়ে শয্যা পাওয়া যায় না। ঠাঁই নিতে হয় ওয়ার্ডের মেঝেতে কিংবা বারান্দায়। পাওয়া যায় না প্রয়োজনীয় ওষুধ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেও সময় লাগে। এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রামের জন্য সিরিয়াল দিতে হয় লম্বা সময়ের জন্য। প্রচণ্ড ভিড়ের জন্য অনেক সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ হয় না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব সমস্যা তারাও অবহিত। হাসপাতালের পুরো অবকাঠমো এক হাজার রোগীর জন্য। তাই বাড়তি আড়াই-তিন হাজার রোগীর আশ্রয় হয় মেঝে কিংবা বারান্দায়। বাড়তি রোগীর প্রভাব পড়ে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও। কর্মকর্তারা বলেন, জনবল সংকটের কারণে শুধু চিকিৎসাসেবা নয়, দাপ্তরিক কাজকর্মেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চিকিৎসকরা জানান, বাড়তি রোগীদের জন্য বাড়তি জনবলেরও পদ সৃষ্টি করতে হবে। নইলে রোগীদের ভোগান্তি কোনো দিনই কমবে না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা সুজনের সম্পাদক ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল বলেন, যেভাবে এই হাসপাতালে দিন দিন রোগী বাড়ছে, তাতে জনবল ও অবকাঠামোর সমাধান না হলে ভবিষ্যতে খুব কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়বে এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাইনউদ্দিন খান বলেন, হাসপাতালের জনবল সংকটসহ অন্য সমস্যাগুলো তারা নিয়মিতই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অবহিত করে যাচ্ছেন। এসব সমস্যা যত দ্রত সমাধান হবে ততই রোগী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য মঙ্গলজনক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই সঙ্গে বিভাগীয় এ নগরীতে আরো সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরামর্শও দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</span></span></span></span></p>