<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় কারাগার থেকে পালানো দুই হাজার ২০০ আসামির মধ্যে ৭০০ আসামি এখনো পলাতক বলে জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। পলাতকদের মধ্যে ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ শীর্ষ পর্যায়ের ৭০ জন আসামি রয়েছেন। আর দেশের মোট ৬৯টি কারাগারের মধ্যে ১৭টি কারাগার অবকাঠামো ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ঝুঁকিপূর্ণ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কারা মহাপরিদর্শক এসব কথা জানান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, দেশের কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার। ৫ আগস্টের সময় ৫০ হাজারের কিছু বেশি কারাবন্দি ছিলেন। তারপর কারাবন্দির সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে ৬৫ হাজার কারাবন্দি রয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় দুই হাজার ২০০ কারাবন্দি পালিয়েছিলেন। এর মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এখনো ৭০০ বন্দি পলাতক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন মামলায় দাগি আসামি বা যাদের শীর্ষ সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে ১১ জন গত ৫ আগস্টের পর মুক্তি পেয়েছেন। আর যাদের জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৭৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চারজন জেল সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ কিছু অভিযোগের পর্যালোচনা ও তদন্ত চলছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কোন মামলার কোন আসামি জামিন পাচ্ছেন তা আমরা জানানোর চেষ্টা করছি। একটি হটলাইন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটি চালু হলে সব তথ্য জানতে সুবিধা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বন্দির ওপর হামলার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কারা-ডিজি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন আমরা কোনো বন্দিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই, কারাগারের বাইরে হলেও সে জায়গাটা কিন্তু কারা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে বা আওতায়। কারণ সেখানে নিরাপত্তায় কারারক্ষী থাকেন। নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দির ওপরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট-পরবর্তী প্রতিটি কারাগারের ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমাদের কারাগারগুলোর অবকাঠামোগত দুর্বলতা ছিল। আরেকটি বাইরের নিরাপত্তা, যেটি পুলিশ সদস্যরা দিয়ে থাকেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে কারাগার থেকে বন্দিদের পালানো ঠেকাতে পারিনি। আমরা কারাগারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা শনাক্ত করে সেগুলো সরকারকে জানিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>