<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রমত্তা মেঘনার তীরে জেগে উঠেছে বালুচর। ধু ধু সেই চরের একটি অংশ মেঘনার বালু দিয়ে সামান্য উঁচু করা হয়েছে। সেখানেই খাসজমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামে ৩০০ ফুট গ্যালারি ও চারতলা প্যাভিলিয়ন ভবন নির্মাণের কাজ শেষের পথে। বরিশালের হিজলা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই স্টেডিয়ামেই বিভিন্ন খেলা আয়োজনের কথা। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উপজেলার ক্রীড়ামোদী মানুষের জন্য নির্মিতব্য স্টেডিয়ামটি আদতে কোনো কাজেই আসবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরব্দী ইউনিয়নের একতা বাজার ঘাটসংলগ্ন চরে স্টেডিয়ামের অবস্থান। স্টেডিয়ামের লাগোয়া ছোট একটি খাল। এর ১০ ফুট দূরেই মেঘনা নদী। উপজেলা সদর থেকে নদীপথ ছাড়া স্টেডিয়ামে যাওয়ার বিকল্প কোনো উপায় নেই। আশপাশে নেই কোনো জনবসতিও। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই স্টেডিয়াম ক্রীড়াপ্রেমীদের কোনো কাজে আসবে না। প্রকল্পের পুরো টাকাই জলে যাবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিজলা উপজেলার ক্রীড়াবিদ দেওয়ান সালাউদ্দিন রিমন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বরিশাল-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পংকজ নাথ প্রকল্পটি এনেছিলেন। উপজেলা পর্যায়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বিচ্ছিন্ন চরে। মূলত পংকজ নাথ টাকা কামানোর জন্য তাড়াহুড়া করে চরে গিয়ে স্টেডিয়াম করেছেন। উপজেলা সদর থেকে নদী পার হয়ে ওই স্টেডিয়ামে গিয়ে কারা খেলবে? ওখানে জোয়ারের সময় এমনিতেই হাঁটু সমান পানি ওঠে। শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই চরে খাসজমিতে সরকারি অর্থের অপচয় করা হচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদী থেকে বালু উত্তোলন করে স্টেডিয়ামের মাঠ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জমিতে নির্মাণ করা ওই স্টেডিয়াম এখনই ভাঙনের মুখে রয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়ামোদীদের খেলাধুলার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। হিজলা উপজেলার হিজলা-গৌরব্দী ইউনিয়নের একতা বাজার ঘাটসংলগ্ন চর স্টেডিয়ামের জন্য নির্বাচন করা হয়। ২০২৩ সালে শুরু হয় নির্মাণকাজ। পাঁচ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মাণ ওই স্টেডিয়ামে ৩০০ ফুট গ্যালারি ও চারতলা প্যাভিলিয়ন ভবন থাকবে। নির্মাণকাজ করছে নূরজাহান কনস্ট্রাকশন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় লোকজন বলছে, মেঘনা নদীর যে স্থানে স্টেডিয়াম করা হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। ভবিষ্যতেও হবে না। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসসহ সরকারি দিবস পালনের কোনো কর্মসূচিও আয়োজন করা যাবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হিজলা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবু হাওলাদার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা সদরে স্টেডিয়াম করার জন্য কেউ জমি দেয়নি। তাই একতা বাজার সংলগ্ন চরের খাসজমিতে  স্টেডিয়াম করা হচ্ছে। তা না হলে স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দ অর্থ ফেরত যেত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে কয়েকবার গিয়ে নির্মাণকাজ দেখে এসেছি। কাজ শেষ পর্যায়ে। প্যাভিলিয়নে থাকার ব্যবস্থা থাকবে। তাই সেখানে খেলার আয়োজন করা যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিজলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রকল্প নেওয়ার সময় জমি অধিগ্রহণের সুযোগ ছিল না। হিজলা সদরের আশপাশে কোনো খাসজমিও নেই। এমনকি প্রকল্পে অধিগ্রহণের অর্থও বরাদ্দ ছিল না। তাই মেঘনা নদীর তীরে স্টেডিয়ামের জন্য জমি নির্ধারণ করতে হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p> </p>