<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাটোরের ভাষাসৈনিক ফজলুল হক আর নেই। গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। গতকাল বাদ জোহর নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জানাজা শেষে স্থানীয় গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফজলুল হক ১৯৩৮ সালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে চাকরি করেন তিনি। অবসরের পর নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নামেন ফজলুল হক। সেই সময়কার জিন্না স্কুলের (বর্তমানে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করেন তিনি। স্থানীয় আরো তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> স্লোগান দিয়ে শহরে মিছিল ও সমাবেশ করেন। এ জন্য হুলিয়া মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল ফজলুল হককে।</span></span></span></span></p> <p> </p>